আগামী সপ্তাহেই দোকান-পাট চালু করার পরিকল্পনা করছে অস্ট্রেলিয়ার কনজারভেটিভ নেতৃত্ত্বাধীন সরকার। করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে দোকান-পাট, স্কুল, রেস্টুরেন্ট-বার বন্ধ রাখা হয়েছিল।
Advertisement
গত তিন সপ্তাহ ধরে লকডাউন রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় দোকান-পাট এবং জনসমাগমের স্থান বন্ধ রাখা হয়েছে।
লোকজনকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এমনকি সম্ভব হলে বাড়িতে বসেই কাজকর্ম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
লকডাউনের কারণে দেশজুড়ে করোনার প্রকোপ কমানো সম্ভব হয়েছে। এমনকি যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
Advertisement
দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩২ জন। ফলে সেখানে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৮৩। অপরদিকে নতুন করে মারা গেছে আরও ১৬ জন।
অর্থাৎ এখন পর্যন্ত মোট প্রাণহানি ঘটেছে ২২০ জনের। এছাড়া হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৩ হাজার ৪৬৩ জন।
গত সপ্তাহে কনজারভেটিভ দলের চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্য বলেছিলেন যে, এপ্রিলের মাঝামাঝিতেই ইন্টেন্সিভ কেয়ারের সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ধাপে ধাপে সব কিছু পুণরায় চালু করা হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনার বিরুদ্ধে আগেই ব্যবস্থা নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সে কারণেই তারা এখন এমন এক পরিস্থিতিতে আছে যখন দোকান-পাট পুণরায় চালু করতে হবে।
Advertisement
যদি সবকিছু স্বাভাবিক থাকে তবে অপ্রয়োজনীয় দোকান-পাটও খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে গণপরিবহন এবং দোকান-পাটে অবশ্যই ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
টিটিএন/এমএস