দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বিভিন্ন এলাকা স্থানীয়দের উদ্যোগে লকডাউন করা হয়েছে। গ্রাম, পাড়া-মহল্লার প্রবেশপথে বাঁশের ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে।
Advertisement
অন্যদিকে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ সীমান্তবর্তী নন্দন, মৌচাক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের স্কয়ার এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়েছে। বিনা কারণে ব্যক্তি বা যানবাহন চলাচল করতে দিচ্ছে না পুলিশ। তবে ধামরাই উপজেলার কালামপুর হয়ে রাতে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশের মতো মির্জাপুরেও চলছে অঘোষিত লকডাউন। গণপরিবহন বন্ধ, রাস্তাঘাট জনশূন্য। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন মানুষ। এ অবস্থায় এলাকা সুরক্ষার জন্য বিভিন্নভাবে চলছে স্থানীয়দের নানা চেষ্টা। বিত্তবানরা খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী সহায়তা দিচ্ছে কর্মহীনদের। তরুণদের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দিয়েছে স্থানীয়রা। নিজ উদ্যোগে গ্রাম, পাড়া-মহল্লার প্রবেশপথে এ ব্যারিকেড বসায় তারা। উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের ধেরুয়া, পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানী, মির্জাপুর সাহাপাড়া, আন্ধরা, ঘোষপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড।
Advertisement
পৌর এলাকার কুমারজানী পূর্বপাড়ার হারুন সরকার বলেন, পাড়ার তরুণরা কুমারজানী থেকে দেওহাটা বাজারে যাওয়ার পথে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়েছেন। এলাকার কেউ বাজার থেকে ফিরলে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার লাগিয়ে গ্রামে প্রবেশ করতে হয়।
মির্জাপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র চন্দনা দে বলেন, স্থানীয়দের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন এলাকার প্রবেশপথে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, মানুষ যাতে বিনা কারণে যাতায়াত করতে না পারে এবং পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া যানবাহন চলাচল বন্ধে কালিয়াকৈর থানার তিনটি প্রবশেপথে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ।
ধামরাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই এলাকার গার্মেন্টস শ্রমিকরা বাড়ি ফিরেছেন। সেজন্য রাতে কালামপুর হয়ে কিছু যানবাহন চলাচল করেছে। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
Advertisement
এরশাদ/এএম/এমএস