দেশজুড়ে

রাজন হত্যা : আরও ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় সপ্তম দিনে আরও চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা আটক আসামিদের উপস্থিতিতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।সাক্ষ্য প্রদানকারীরা হলেন, এসএমপির জালালাবাদ থানার কনস্টেবল জাকির আহমদ ও মনির আহমদ, মাইক্রোবাসের মালিক আব্দুল মান্নান ও ওয়ার্কশপের মালিক সুদীপ কাপালী।এ নিয়ে রাজন হত্যা মামলায় মোট ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো। বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন আদালত। এ মামলায় আরও ১৩ জনের সাক্ষগ্রহণ করা হবে।বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মসরুর আহমদ চৌধুরী শওকত জাগো নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার আরও চারজনের সাক্ষগ্রহণ করা হয়েছে। এ মামলায় আগামীকাল বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য আছে।আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে সোমবার সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা ১০ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।তারা হলেন, শহরতলির কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া গ্রামের মুহিত আলম ওরফে মুহিত, তার সহোদর আলী হায়দার ওরফে আলী, চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের বাসিন্দা ও ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নুর মিয়া, দুলাল আহমদ, আয়াজ আলী, তাজ উদ্দিন বাদল, ফিরোজ মিয়া, আছমত আলী ওরফে আছমত উল্লাহ ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেলকে।গত ২২ সেপ্টেম্বর পলাতক আসামি সৌদি প্রবাসী কামরুলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে চার্জ গঠন করা হয়। আসামিদের মধ্যে কামরুলসহ তিনজন পলাতক রয়েছেন।গত ৩১ আগস্ট সৌদি আরবে আটক কামরুলসহ পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময়সীমার মধ্যে পলাতকরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত বিচারিক কাজ শুরুর লক্ষ্যে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করেন।গত ২৪ আগস্ট একই আদালত পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী পরদিন ২৫ আগস্ট জালালাবাদ থানা পুলিশ তিন পলাতক আসামিদের মালামাল ক্রোক করে।প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।    ছামির মাহমুদ/এমজেড/আরআইপি

Advertisement