প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিলেন বুধবার, তার আগেরদিন রাতে নিজেই মেতে উঠলেন অচেনা যৌনকর্মীদের নিয়ে উদ্দাম পার্টিতে- এমন দ্বিমুখী আচরণের কারণে ফুটবল বিশ্বের তোপের মুখে পড়েছেন ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার।
Advertisement
গত বুধবার এক ভিডিওবার্তায় সবাইকে ঘরে নিরাপদ থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন ওয়াকার। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে, ম্যানচেস্টার সিটির এ ফুটবলার নিজেই বাসায় যৌনকর্মীদের ডেকে করেছেন রাতভর পার্টি। অথচ তখনও সারাদেশ ছিল লকডাউনে।
ইংলিশ ডিফেন্ডারের এই যৌন পার্টির খবর ছড়াছড়ি হয়েছে তারই আমন্ত্রিত এক যৌনকর্মীর মাধ্যমে। গত মঙ্গলবার রাতে ২১ বছর বয়সী লুইস ম্যাকনামারা এবং ২৪ বছর বয়সী এক ব্রাজিলিয়ান কলগার্ল চেশায়ারে ওয়াকারের ভাড়া করা বাসায় যান।
যেখানে থেকেই ছিলেন ওয়াকার এবং তার এক বন্ধু। উদ্দাম পার্টি শেষে দুজনকে ২২০০ পাউন্ড (প্রায় আড়াই লাখ টাকা) দেন ওয়াকার। সেই দুই যৌনকর্মী বুধবার ভোরের দিকে ওয়াকারের বাসা ছেড়ে যান।
Advertisement
পরদিন ইন্সটাগ্রামে নিজের ভক্তদের উদ্দেশ্যে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে ভিডিওবার্তা দেন ওয়াকার। যা দেখে তাকে ভণ্ড বলে অভিহিত করেন লুইস। তিনি বলেন, ‘ও (ওয়াকা) তো একটা ভন্ড। একদিকে বলছে সবাইকে সচেতন থাকতে, অন্যদিকে অচেনা মানুষদের বাসায় ডেকে যৌন পার্টিতে মেতেছে।’
এই খবর ছড়াছড়ি হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়েছেন ওয়াকার। নিজের আনুষ্ঠানিক বার্তায় তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহের ঘটনার জন্য আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে আমার আরও সচেতন হওয়া উচিৎ ছিলো। আমি আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, ফুটবল ক্লাব, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি।’
ক্ষমা চাইলেও ওয়াকারের এই কাণ্ডকে হালকাভাবে নিচ্ছে না তার ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। জানা গেছে, এ ডিফেন্ডারের জন্য কঠিন শাস্তিই অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে লকডাউনের মধ্যে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার কর্মীদের সাহস দেয়ার বদলে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীনের মতো কাজ করে সহসাই পার পাচ্ছেন না তিনি।
ম্যান সিটির এক মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেন, ‘ফুটবলাররা বৈশ্বিক রোড মডেল। আমাদের ক্লাবের কর্মচারী-কর্মকর্তা, খেলোয়াড়রা যথাসম্ভব জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার কর্মীদের সাহায্য করার চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় ওয়াকারের কাজটি আমাদের সব চেষ্টায় পানি ঢেলে দিয়েছে। আমরা এই অভিযোগ শুনে হতাশ। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো এ বিষয়ে।’
Advertisement
এসএএস/পিআর