দেশজুড়ে

করোনার চিন্তা বাদ দিয়ে একদিনে ব্যাংকে এলেন আড়াই হাজার গ্রাহক

টাঙ্গাইলের ব্যাংকগুলোতেও ব্যাপক জনসমাগম। সামাজিক দূরত্বের ধার ধারছে না তারা। রোববার সকাল থেকে এমন চিত্র দেখা গেছে সোনালী ব্যাংক টাঙ্গাইল শাখা আর জনতা ব্যাংক টাঙ্গাইল কর্পোরেট শাখায়। এতে বিফলে যাচ্ছে সরকারের নির্দেশনামূলক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নীতি।

Advertisement

এছাড়া সীমিত ব্যাংকিংয়ের নির্দেশনা অনুসরণ নিয়েও জটিলতায় পড়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ফলে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার ঝুঁকি।

ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মার্চ থেকে সকাল ১০-১২টা পর্যন্ত দেশের সব ব্যাংকে সীমিত ব্যাংকিংয়ের সময়সীমা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর আবার ৫ এপ্রিল থেকে সময়সীমা বৃদ্ধি করে করা হয়েছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

কিন্তু সরেজমিনে সোনালী ব্যাংক টাঙ্গাইল শাখায় দেখা যায়, উপচে পড়া মানুষের ভিড়। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যাংকের শাখাটিতে ভিড় করেছেন প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ। তবে এর সীমিত সংখ্যক মানুষ এসেছেন টাকা তুলতে। বাকিরা এসেছেন ডিপিএসের টাকা জমা দিতে, সঞ্চয়কৃত টাকার পরিমাণ জানতে আর এফডিআর এবং সঞ্চয়পত্রের মুনাফা তুলতে। এছাড়া রয়েছেন বয়স্ক ও বিধবাভাতাপ্রাপ্তরা। বৃহৎ সংখ্যক গ্রাহকের প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement

এরপরও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত এই সীমিত ব্যাংকিং নিয়ে রয়েছে গ্রাহকের নানা অভিযোগ। ব্যাংক খোলা থাকা সত্ত্বেও এই নীতির ফলে তারা হচ্ছেন ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত। ব্যাংক কর্মচারী আর কর্মকর্তা টাকা উত্তোলন আর জমা নেয়া ছাড়া তাদের বিদেশ থেকে আসা টাকার পরিমাণ জানাতে অস্বীকৃিত জানাচ্ছেন। এছাড়া তারা সঞ্চয়পত্র, এফডিআরের মুনাফা উত্তোলন বা জমার পরিমাণ জানতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ফলে চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন তারা। একই অবস্থা দেখা গেছে জনতা ব্যাংকে।

সমস্যার কথা স্বীকার করে সোনালী ব্যাংক ভিক্টোরিয়া রোড শাখার ব্যবস্থাপক রাইসুল আমীন বলেন, গত ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সকাল থেকে ১২টা পর্যন্ত সীমিত ব্যাংকি কার্যক্রম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর রোববার থেকে ওই সময়সীমা বৃদ্ধি করে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবরোধে এ সীমিত ব্যাংকিং প্রক্রিয়া চালু করা হলেও সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা বেশি থাকায় কার্যক্রম পরিচালনা অনেকটাই অসম্ভব। সীমিত সময়সীমায় যদি শুধু টাকা উত্তোলন বা জমা দেয়ায় সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে হয়তো এমন সমস্যায় পড়ত না গ্রাহক আর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, সীমিত ব্যাংকিং প্রদ্ধতি চালু করা হলেও নানাবিধ কার্যক্রম থাকার ফলে পূর্বের নির্ধারিত ১০টা থেকে বিকেল ৪টা সময়সীমার আগে ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করা অসম্ভব। তবে ব্যাংকে এ পরিমাণ গ্রাহক উপস্থিতির ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নীতি আমাদের পক্ষে পালন করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।

আরিফ উর রহমান টগর/এএম/এমকেএইচ

Advertisement