দেশজুড়ে

ডেকোরেটর শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন ডিসি হারুন

করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। সারাদেশের ন্যায় নওগাঁতেও অঘোষিত লকডাউন চলছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে করোনা সচেতনতায় প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

Advertisement

করোনা দুর্যোগে এলাকার মানুষ এখন ঘরবন্দি। কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুররা আয় রোজগার না থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছেন। শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল ৫টার পর থেকে ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

কর্মহীন হয়ে পড়া নওগাঁ জেলা ডেকোরেটর শ্রমিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড'র শ্রমিদের মাঝে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে ত্রাণ বিরতণ করেছেন জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ। রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৭০ জন শ্রমিকের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। যেখানে রয়েছে- চাল, ডাল, আলু, লবণ, তেলসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি।

এর আগে উপজেলা চত্বরে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর খাদ্য সামগ্রীগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়। পরে ডেকোরেটর শ্রমিকরা একে একে ত্রাণের প্যাকেটগুলো নিয়ে যান।

Advertisement

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) টুকটুক তালুকদার, জেলা সমাজসেবা উপ-পরিচালক নুর মোহাম্মদ, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মাহাবুবুর আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

শহরের রজাকপুর গ্রামের শ্রমিক নজরুল ইসলাম বলেন, তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছয়জন। গত ২০ দিন থেকে কাজ বন্ধ আছে। ঘরে যা সঞ্চয় ছিল সেগুলো বসে বসে খাওয়া প্রায় শেষ। আল্লাহ আর কতদিন এভাবে কর্মহীন রাখবে জানি না? আমরা কাজকর্ম করে খাই। এখন কাজ নাই। কোথাও যেতে পারছি না। হাত পাততে লজ্জা লাগছে। সমস্যা ওখানেই। অবশেষে ডিসি স্যার আামাদের ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।

শ্রমিক নাজেদুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, দুলাল হোসেনেরও একই অবস্থা। তারা বলেন, করোনায় আমাদের দুর্ভোগে ফেলেছে। কোনো কাজকাম নাই। সারাদিন বাড়িতে বসে বসে সময় পার করতে হচ্ছে। এভাবে আর কতদিন থাকতে হবে একমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ বলেন, কর্মহীন এসব মানুষ কারও কাছে চাইতে পারেন না। তারা করোনা পরিস্থিতির শিকার। কর্মহীন মানুষদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে অনুগ্রহ করে আপনারা সকলে নিজ নিজ বাড়িতে থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

Advertisement

আব্বাস আলী/এমএএস/এমকেএইচ