দেশজুড়ে

সিংগাইরে এবার স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে তাবলিগ জামাতের মুসল্লির পর এবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই নারীর স্বামীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকার উত্তরায় কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তারা ঢাকাতেই বসবাস করতেন।

Advertisement

সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা ডা. মো. সেকেন্দার আলী মোল্লা এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে কর্মরত ওই নারী গত ২৬ মার্চ সর্বশেষ অফিস করেন। অসুস্থতার কারণে এরপর তিনি আর অফিসে আসেননি। জ্বর-সর্দি কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে তিনি শনিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) গিয়ে পরীক্ষা করান। তার স্বামীও একই উপসর্গ নিয়ে আইইডিসিআরে পরীক্ষা করান। পরীক্ষায় তাদের দুজনের শরীরেই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

তাদের ঢাকার উত্তরায় কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসোলোশনে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা হচ্ছে। ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগের যে বাড়িতে তারা থাকতেন সেই বাড়িটি লকডাউন করেছে প্রশাসন। তার সংস্পর্শে আসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের স্টাফসহ ১১ জনকে হোম কোয়ান্টোইনে রাখা হয়েছে। তাদেরকে আইইডিসিআরের তত্ত্বাবধায়নে পরীক্ষা করা হবে।

Advertisement

এদিকে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লা জানান, গত ২৪ মার্চ থেকে ১২ সদস্যর একটি তাবলিগ জামাতের দল সিংগাইর পৌর এলাকার আজিমপুর নয়াডাঙ্গী বাইতুল মামুর ও মারকাযুল মা আরিফ ওয়াদ-দা ওয়াহ মাদরাসায় এসেছিলেন। তারা মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন। এদের মধ্যে এক মুসল্লির জ্বর-কাশি দেখা দিলে এক স্বজনের মাধ্যমে ঢাকায় আইইডিসিআরে গিয়ে তিনি পরীক্ষা করান। পরে তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

আইইডিসিআর থেকে এই তথ্য জানার পর মাদরাসায় অবস্থান করা তার ১২ জন সফরসঙ্গীসহ ১৮ জন মুসল্লি এবং তাদের সংস্পর্শে আসা দুটি পরিবারের ১০ জন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। মুসল্লিরা বিভিন্ন এলাকায় ও মসজিদে দাওয়াতি কার্যক্রমসহ এলাকায় বাজারও করেছেন। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে শনিবার রাত থেকে সিংগাইরের পৌর এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

বিকেলে আইইডিসিআরের একটি প্রতিনিধি দল সিংগাইরে এসে তাবলিগ জামায়াতের ১২ মুসল্লিসহ ১৮ জন এবং হাসপাতালের ১১ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

বি.এম খোরশেদ/আরএআর/এমকেএইচ

Advertisement