বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে কপিরাইট অফিস, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে সংস্কৃতিসেবীদের নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা প্রদান করছে। সম্প্রতি কপিরাইট অফিসকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিপিডিটি’র (ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক) সাথে একীভূত করার জন্য সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে কিছু ব্যক্তি-মহল।কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্বের ১২০টিরও বেশি দেশে কপিরাইট অফিস সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে। ডিপিডিটি অফিস কপিরাইট অফিসকে নিয়ন্ত্রণ করে এরকম দৃষ্টান্ত একেবারেই বিরল। তাই কপিরাইট অফিস সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে। বাংলাদেশের সংস্কৃতিকর্মী, সংস্কৃতিমনা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ সরকারের কাছে এমনই প্রত্যাশা করে।কপিরাইট অফিসকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখা এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন না করার দাবি জানিয়ে বুধবার (১৪ অক্টোবর ২০১৫) দুপুর ১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘কপিরাইট অফিস সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাখার দাবি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এটি আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশ কপিরাইট অ্যান্ড আইপি ফোরাম, বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশান (বামবা), মিউজিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইবি), বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির যৌথ উদ্যোগে। এলএ/আরআইপি
Advertisement