করোনার আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে অর্থ বরাদ্দ চেয়েছে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।
Advertisement
রোববার প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার পর সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে আরও তিনটি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রিয়েল এস্টেট খাত। কারণ এই খাতের সাথে অনেকগুলো শিল্প জড়িত। আবাসন শিল্পে ৩৫ লাখ নাগরিকের কর্মসংস্থান জড়িত। ডেইলি বেসিস এখানে কয়েক লাখ শ্রমিক কাজ করে। আবাসন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্যান্য খাতেও এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ফলে অর্থনীতিতে সূদরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এতে আরও বলা হয়, ২০১১ সালে আবাসন খাতে যে সংকট তৈরি হয় সেটা দূর করতে প্রায় কয়েক বছর লেগে যায়। খাতটি সংকট কাটিয়ে যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তখনই করোনার আঘাত শুরু হয়েছে। বর্তমান সময়ে যে সংকট তা থেকে রক্ষায় এখনই কার্যকর সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
Advertisement
এসব তথ্য তুলে ধরে সংগঠনটি চারটি দাবি জানিয়েছে।
১. অবিলম্বে আবাসন শিল্পে বিনিয়োগকারীদের তাৎক্ষণিক সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে রিয়েল এস্টেট খাতে বরাদ্দ দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
২. আবাসন ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান ঋণের সুদ ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মওকুফ ও সহজ শর্তে পুনঃতফসিল করা খুবই জরুরি দরকার।
৩. বর্তমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদি সংকট নিরসনে আবাসন শিল্পে ২০০৭-০৮ সালের ন্যায় হাউজিং রি-ফিন্যান্সিং স্কিম পুনঃপ্রচলন অত্যাবশ্যক।
Advertisement
৪. রিহ্যাব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই এবং এনবিআরের সমন্বয়ে গঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় বাংলাদেশের আবাসন শিল্পের সমস্যা সমাধান এবং সার্বিক উন্নয়নের নিমিত্তে গৃহীত সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা কামনা করছি।
এমএএস/বিএ/এমএস