অর্থনীতি

ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের সুদ মওকুফের দাবি রিহ্যাবের

করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগকালীন সময়ে আবাসন ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান ঋণের সুদ এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মওকুফ করার দাবি জানিয়েছে আবাসন মালিকদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে রিয়েল এস্টেট খাতে বরাদ্দ দেয়াসহ এক গুচ্ছ দাবি তুলে ধরা হয়েছে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে।

Advertisement

রোববার (৫ এপ্রিল) রিহ্যাব বোর্ড অব ডিরেক্টরসের পক্ষে প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ সব দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে মারাত্মকভাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। এই প্রেক্ষাপটে ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সেজন্য রিহ্যাবের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাচ্ছি।

এতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রিয়েল এস্টেট খাত। কারণ এই খাতের সঙ্গে অনেকগুলো লিঙ্কেজ শিল্প জড়িত। আবাসন শিল্পের সঙ্গে ৩৫ লাখ নাগরিকের কর্মসংস্থান জড়িত। ডেইলি বেসিস এখানে কয়েক লাখ শ্রমিক কাজ করেন। আবাসন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্যান্য খাতেও এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ফলে অর্থনীতিতে লম্বা সময়ের জন্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

Advertisement

এমতাবস্থায় নিম্ন লিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবাসন খাতের জন্য খুবই জরুরি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

>> অবিলম্বে আবাসন শিল্পে বিনিয়োগকারীদের তাৎক্ষণিক সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উক্ত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে রিয়েল এস্টেট খাতে বরাদ্দ দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

>> আবাসন ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান ঋণের সুদ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মওকুফ ও সহজ শর্তে পুনঃতফসিল করা খুবই জরুরি।

>> বর্তমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদি সংকট নিরসনে আবাসন শিল্পে ২০০৭-০৮ সালের ন্যায় হাউজিং রি-ফিন্যান্সিং স্কিম পুনঃপ্রচলন অতি আবশ্যক।

Advertisement

>> রিহ্যাব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই এবং এনবিআরের সমন্বয়ে গঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় বাংলাদেশের আবাসন শিল্পের সমস্যা সমাধান এবং সার্বিক উন্নয়নের নিমিত্তে গৃহীত সুপারিশসমূহ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা কামনা করছি।

এতে বলা হয়, উপরোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে রিয়েল এস্টেট খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে। অন্যান্য লিঙ্কেজ শিল্প আবার গতিশীল হবে এবং বিস্তার লাভ করবে। ফলে অর্থনীতি স্বাবলম্বী হবে। করোনাভাইরাস সংকট কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবৃদ্ধি আবার বৃদ্ধি পাবে। এ জন্য উপরোক্ত দাবি বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা রিহ্যাবের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাই।

এমইউএইচ/এফআর/এমকেএইচ