জাতীয়

ছুটি বাড়লো ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান ছুটি আরও তিনদিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১২ ও ১৩ এপ্রিলও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ১৪ এপ্রিল নববর্ষের ছুটি এই ছুটির সঙ্গে যুক্ত হবে।

Advertisement

শনিবার দুপুরে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন জাগো নিউজকে ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করে আদেশ জারি করা হয়েছে।’

করোনার কারণে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে তা বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল করা হয়। এখন আবারও বাড়ানো হলো।

ছুটি বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনাভাইরাস রোগ মোকাবেলা এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৪ মার্চ ও ১ এপ্রিল প্রজ্ঞাপনে ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির ধারাবাহিকতায় ১২ ও ১৩ এপ্রিলও ছুটি ঘোষণা করেছে। ১৪ এপ্রিল নববর্ষের নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি এ ছুটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে।

Advertisement

জরুরি পরিসেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না জানিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে। জরুরি প্রয়োজনেও অফিস খোলা রাখা যাবে।

প্রয়োজনে ওষুধ শিল্প, উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে। মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে রিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস পর্যাক্রমে চালু করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

ছুটি ফের বাড়ায় করোনার কারণে দেশে টানা ২০ দিন ছুটি থাকবে।

Advertisement

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) রোববারের তথ্য অনুযায়ী, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন একজন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে। ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও তিনজন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন। আর এতে মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৯ জনে।

এমআরএম/এসএইচএস/পিআর