কিশোরগঞ্জে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। করোনার মহামারি থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে সারা দেশের মতো চলছে অঘোষিত লকডাউন। ফার্মেসি ও জরুরি সেবা ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের দোকানপাট। এমনকি নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতেও দৈনন্দিন কেনাকাটার সময় বেধে দেয়া হয়েছে। শহরে জীবাণু মিশ্রিত পানি ছেটানো, হাত ধোয়ার বেসিন স্থাপনসহ কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য চলছে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ।
Advertisement
এতসব তৎপরতায় ১৩ উপজেলা নিয়ে গঠিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা কিশোরগঞ্জে কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকের সংখ্যা কমে আসছে। তবে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে উপসর্গ এবং নমুনা সংগ্রহ করা লোকজনের সংখ্যা।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় ৪৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছ। কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ৩৭ জন। ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৩২২ জন কোয়ারেন্টাইনে থেকেছেন। এ সময়ে কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ১২৩২ জন। বর্তমানে এক জন প্রাতিষ্ঠানিকসহ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৯০ জন।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রোববার বিকেলে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া একজন রয়েছেন।
Advertisement
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দফায় পাঠানো ৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আগামীকাল (সোমবার) বাকিদের পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ হওয়া বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
এফএ/পিআর
Advertisement