খেলোয়াড়ি জীবনে তাকে ডাকা হতো ‘প্রিন্স অব কলকাতা’ অর্থাৎ কলকাতার রাজপুত্র নামে। তিনি যে আসলেই কলকাতার রাজপুত্র, তা প্রমাণ করে চলেছেন পদে পদে। যেকোন জরুরি অবস্থায় কলকাতার মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করে যাচ্ছেন কলকাতার রাজপুত্র সৌরভ গাঙ্গুলি।
Advertisement
ভারতে হয়ে ক্রিকেট খেলা ছেড়েছেন প্রায় এক যুগ আগে। এখন তিনি রয়েছেন ভারতের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ দায়িত্বে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড- বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে। এ দায়িত্বে শুধুমাত্র ক্রিকেটের দিক দেখার কথা থাকলেও, মানবিক বিষয়গুলোতেও বেশ নজর রেখেছেন গাঙ্গুলি।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউনে রয়েছে গোটা ভারত। যারা অবস্থাসম্পন্ন কিংবা স্বচ্ছল, তাদের এই লকডাউনে তেমন সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু তুলনামূলক গরীব-অসহায় মানুষদের মুখে জুটছে না দু মুঠো ভাত। এসব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কলকাতার রাজপুত্র।
কিছুদিন আগেই নিজের ছোটবেলার খেলার স্থান বেলুর মাঠে রামকৃষ্ণ মিশনের হেড কোয়ার্টারে দুই হাজার কেজি চাল দিয়েছেন গাঙ্গুলি। এবার কলকাতার ইসকনের সঙ্গে এক হয়ে অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন তিনি।
Advertisement
শনিবার ইসকনের কলকাতা কেন্দ্রে গিয়ে দৈনিক ১০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে এসেছেন তিনি। এর আগপর্যন্ত দিনে ১০ হাজার মানুষের খাবারের আয়োজন করত ইসকন। গাঙ্গুলির সহায়তা নিয়ে এখন তারা দিনে ২০ হাজার মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে সক্ষম হয়েছে।
কলকাতা ইসকনের সহ-সভাপতি রাধারমন দাস জানিয়েছেন এমন তথ্য। তিনি বলেন, ‘কলকাতা ইসকন থেকে আমরা এমনিতে দিনে ১০ হাজার মানুষের খাবার রান্না করি। আমাদের প্রিয় সৌরভ দাদা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এলেন, যা আমাদের সক্ষমতা দ্বিগুণ করে দিয়েছে। আমরা এখন ২০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করতে পারব।’
এসময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সৌরভের এই ইনিংসকে অন্যতম সেরা আখ্যা দিয়ে রাধারমন আরও বলেন, ‘দাদার অধিনায়কত্বে এই দীর্ঘ টেস্ট ম্যাচটিতে লড়ার সাহস ও অনুপ্রেরণা পাচ্ছে কলকাতা ইসকন। আমরা কলকাতার অনেক অভুক্ত পরিবারকে সাহায্য করতে পারব। ক্রিকেট মাঠে দাদার অনেক ভালো ভালো ইনিংস আছে। তবে এখনের ইনিংসটা অন্যতম সেরা। কলকাতা ইসকন দাদার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।’
সৌরভের সহায়তায় সহায়তায় শুধু কলকাতা ইসকন থেকেই এখন দৈনিক ২০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা হচ্ছে। আর সারা ভারতজুড়ে প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে ইসকন।
Advertisement
এসএএস/পিআর