ক্রিকেট মাঠে অবলীলায় যখন-তখন ছক্কা হাঁকাতে পারেন ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। তার রুদ্রমূর্তি সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো ধারণা দিতে পারবেন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। কেননা তার এক ওভারেই ছয়টি ছক্কা মেরেছিলেন যুবরাজ সিং।
Advertisement
যা কি না এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ওভারে ছয়-ছক্কার সবশেষ উদাহরণ হয়ে রয়েছে। শুধু সেই ম্যাচই কেন! পুরো ক্যারিয়ারে তিন ফরম্যাট মিলে ২৫১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন যুবরাজ। তার দিনে বোলারদের নাকের জল, চোখের জল হয়ে যেত মাঠে।
সেই যুবরাজই এখন সামাল দিতে পারছেন না ঘরের বাউন্সার। করোনাভাইরাসের কারণে এখন কাটছে পুরোপুরি গৃহবন্দী সময়। একঘেয়ে এই সময় কাটানোর জন্য ঘরের কাজে সাহায্য করছেন যুবরাজ। কিন্তু প্রায়ই এমন সব বাউন্সার আসে তার সামনে, যেগুলোর কোন উত্তরই দিতে পারেন না মারকুটে অলরাউন্ডার।
করোনার সময়টাকে উপভোগ্য করার লক্ষ্যে ‘আইসোলেশন প্রিমিয়ার লিগ’ নামে এক কুইজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন ভারতের ক্রিকেটাঙ্গনের পরিচিত মুখ গৌরব কাপুর। এই অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্বে অতিথি ছিলেন যুবরাজ। সেখানেই জানিয়েছেন কেমন কাটছে গৃহবন্দী সময়।
Advertisement
আইসোলেশনে বসে বসে কী করছেন, কী শিখলেন যুবরাজ? উত্তরে জানান, ‘আমি কাপড় ধোয়া শিখে ফেলেছি। ছোট একটা ব্যাট দিয়ে কাপড় ধুতে পারি এখন। এছাড়া আমার ঘরে জিম আছে। এক-আধটু জিমও করে নেই।’
এসময় তিনি মজার ছলেই জানান, ঘরে এক দিকে মা আর অন্যদিকে স্ত্রী- ফলে দুইদিকেই তার জন্য বিপদ। আর তাদের ছোড়া বাউন্সারগুলো সামাল দিতে গিয়েই বেসামাল যুবরাজ। তাও আবার এক প্রান্ত নয়, দুই প্রান্ত থেকেই আসে এমন সব বাউন্সার।
উপস্থাপক গৌরব জিজ্ঞেস করেন, ২০-২৫ বছর ক্রিকেট খেলার পর এখন টানা ঘরের মধ্যে চলা ম্যাচে কেমন লাগছে? উত্তর আসে, ‘ঘরে মা আছে, বউ আছে। একদিকে কুয়া আর অন্যদিকে খাদ! এমনি ভালোই লাগছে। তবে এখানে এমন সব বাউন্সার আসে, যেগুলোর কোন জবাবই জানা নেই আমার। পুল মারার জন্য প্রস্তুত হই আর দেখি বল আগেই চলে গেছে আমাকে অতিক্রম করে। দুই প্রান্ত থেকেই এসব সামাল দিতে হয়।’
গৌরবের এই কুইজ শো’তে যুবরাজের আগে ছিলেন দীনেশ কার্তিক, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং ইয়ুজভেন্দ্র চাহাল। ১০০ পয়েন্টের খেলায় এ তিনজনের স্কোর ছিল যথাক্রমে ৮৮, ৯২ এবং ৮৮ পয়েন্ট। এ তিনজনকেই ছাড়িয়ে যান যুবরাজ। তিনি জিতে নেন ৯৬ পয়েন্ট।
Advertisement
এসএএস/পিআর