চিকিৎসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কোন হাসপাতাল রোগী ফেরত দিচ্ছে সরকার তা নজরে রাখছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সময়মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে অনলাইনে দেয়া বক্তব্যে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান এ মন্তব্য করেন।
Advertisement
বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও এই দুর্যোগে জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, এ সময় অনেক রোগীকে চিকিৎসা পেতে অসহায়ের মতো এক হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরতে হচ্ছে, এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ, সর্দিকাশি হলেই তা করোনা নয়, আর করোনা রোগী হলেও তার সাহায্যার্থে আমাদের এগিয়ে আসা উচিত। অনেক ডাক্তার-নার্সই আজ করোনা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন এবং অনেক করোনা আক্রান্ত রোগীও সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছে।’
‘তাই আমি আশা করবো, যারা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনা করেন, তারা জনগণের পাশে দাঁড়াবেন। জনগণ যাতে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পায়, সেটি তারা নিশ্চিত করবেন, জনগণ এটিই প্রত্যাশা করে।’
Advertisement
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোন হাসপাতাল দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে, চিকিৎসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রোগী ফেরত দিচ্ছে, সরকার সেটিও নজরে রাখছে, সময়মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা যদি সবাই ৩১ দফা নির্দেশনা মেনে চলি তবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা করোনার বিস্তার রোধে সক্ষম হবো। আমি গণমাধ্যমের মাধ্যমে সবার কাছে এই ৩১ দফা নির্দেশনা পৌঁছে দেয়া ও সবাইকে মেনে চলার আহ্বান জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা পরিস্থিতির সব খুঁটিনাটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখছেন এবং সেই মোতাবেক যেখানে যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যে আশংকা রয়েছে, তা মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে তিনি প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর তত্বাবধানে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী দেশের সকল জেলায় পাঠানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যেটি করা হচ্ছে, অন্য কোনো দলের পক্ষ থেকে সেটি করা হচ্ছে বলে আমার জানা নেই। অনেকে অনেক কথা বলেন, কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কথা নয়, কাজে বিশ্বাসী। সে কারণে শুধু করোনা প্রতিরোধ সামগ্রীই নয়, দেশের খেঁটে খাওয়া মানুষ, যারা দিন এনে দিন খায়, তাদের জন্য সরকারের পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকেও গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। আমাদের জনপ্রতিনিধিরা, এমপি, উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানেরা সেই ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন, অনেকে নিজ উদ্যোগেও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছেন।’
Advertisement
এসময় উপস্থিত একজন সাংবাদিক করোনা পরিস্থিতিতে বিএনপির দেয়া ৮৭ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের প্রস্তাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপি কোনো হোমওয়ার্ক না করে শুধু বলার জন্য এমন প্রস্তাব দিয়েছে। কার্যত কিছু লিফলেট বিলি করা ছাড়া জনগণের পাশে দাঁড়াতে তাদের দেখা যায়নি।
পরে তথ্যমন্ত্রী এফটিপিও, বিএসপি এবং প্রোব নেতৃবৃন্দের সাথে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এফটিপিও সভাপতি নাট্যকার মামুনুর রশীদ, সদস্য এস এ হক অলীক, বিএসপি সভাপতি মো: শাহজালাল, সাধারণ সম্পাদক এম জি কিবরিয়া, প্রোব সভাপতি মো. হারুন-উর-রশীদ, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান চৌধুরী রনি ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারি ফেডারেশন সভাপতি মো. মতিউর রহমান তালুকদার আলোচনায় অংশ নেন।
পরে তথ্যমন্ত্রী এফটিপিও, বিএসপি এবং প্রোব নেতৃবৃন্দের সাথে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার নানাদিক নিয়ে আলোচনা করেন। এফটিপিও সভাপতি নাট্যকার মামুনুর রশীদ, সদস্য এস এ হক অলীক, বিএসপি সভাপতি মো. শাহজালাল, সাধারণ সম্পাদক এম জি কিবরিয়া, প্রোব সভাপতি মো. হারুন-উর-রশীদ, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান চৌধুরী রনি ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশন সভাপতি মো. মতিউর রহমান তালুকদার আলোচনায় অংশ নেন।
আরএমএম/এনএফ/এমকেএইচ