জাতীয়

সড়কে নয়, বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ দিয়ে আসার পরামর্শ

ত্রাণ বিতরণকে কেন্দ্র করে রাস্তায় রাস্তায় শত শত মানুষের উপস্থিতির পরিবর্তে কর্মহীন অনাহারি মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার সরবরাহ করে ভাইরাস সংক্রমণকে ঠেকিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

Advertisement

শনিবার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর আলোকে কমিশন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে এবং অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরে সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠাচ্ছে।

আশার কথা হলো, করোনাভাইরাসের এই মানবিক বিপর্যয়ের মুখে বিপাকে পড়া দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার, বেসরকারি সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। খাদ্য সংকটে পড়া মানুষের বাড়িতে গিয়ে বা বিভিন্ন জায়গায় তাদের রান্না করা খাবার বা ত্রাণ-সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

তবে গণমাধ্যমের সচিত্র প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাবে অপরিকল্পিতভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এভাবে সঠিক ব্যক্তির কাছে যেমন ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না, অন্যদিকে জনসমাগমের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে দূরত্ব বজায় না রেখে ত্রাণ বিতরণের ফলে বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি। ত্রাণ বিতরণকে কেন্দ্র করে রাস্তায় রাস্তায় শত শত মানুষের উপস্থিতির পরিবর্তে কর্মহীন অনাহারী মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাবার সরবরাহ করে ভাইরাস সংক্রমণকে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করা যায়।

বর্ণিত প্রেক্ষাপটে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে ঘরে থাকার লক্ষ্যে অতি জরুরি ভিত্তিতে কর্মহীন ভাসমান মানুষের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের বাড়িতে বাড়িতে রান্না করা খাবার বা ত্রাণ-সামগ্রী পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানায় কমিশন।

জেইউ/এনএফ/জেআইএম

Advertisement