মহামারি করোনাভাইরাস গোটা পৃথিবীকে প্রায় অচল করে দিয়েছে। বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ এখন ঘরবন্দি। আতঙ্কিত মানুষ প্রাণ হারানোর ভয়ে সবসময় তটস্থ। সর্বশেষ হিসাব বলছে, বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
Advertisement
করোনায় সবচেয়ে বাজে অবস্থা ইউরোপ ও আমেরিকার। করোনায় বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে এই দুই মহাদেশে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ইতালিতে; ১৪ হাজার ৭৮১ জন। ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনের অবস্থান তারপরই। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৭৪৪ জনের।
ইতালি আর স্পেনের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ হাজার ৪০৩ জন মারা গেছেন। তবে ২ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে দেশটিতে।
ফ্রান্সে ৬ হাজার ৫০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাজ্য, ইরান ও চীনে মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৩ হাজার ৬০৫, ৩ হাজার ৪৫২ এবং ৩ হাজার ৩২৬ জন। এছাড়া নেদারল্যান্ডসে ১ হাজার ৬৫১, বেলজিয়ামে ১ হাজার ২৮৩ এবং জার্মানিতে ১ হাজার ২৭৫ জন মারা গেছে।
Advertisement
মহামারি করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি ইউরোপে। যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৪০ হাজারের মতো মানুষ করোনায় মারা যেতে পারে বলে শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। চীনে প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও করোনার কেন্দ্র এখন ইউরোপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এরপরের কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের মুম্বাইয়ে এশিয়ার বৃহত্তম বস্তিতে করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যুর পর দেশটির শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন, করোনার ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে ভারত যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে মৃতের দিক দিয়ে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে ভারত।
দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়ে চীনকে সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, দেশটি প্রথম ধাক্কা সামলে উঠলেও এখন আবার সেখানে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। এ ছাড়া হংকং, সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানে প্রথম দিকে সংক্রমণ ততটা না ছড়ালেও এখন বাড়ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ইরানের। দেশটিতে তিন সহস্রাধিক মানুষের পাশাপাশি দেশটিতে ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত। তবে দেশটির বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, চীনে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
এসএ