চলমান করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৯ পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো।
Advertisement
শনিবার (৪ এপ্রিল) হোয়াটসঅ্যাপে দলটির পলিটব্যুরো এক সভায় এ মতামত দিয়েছেন। ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে-
১. পরিপূর্ণ জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণকে উদ্ধুদ্ব করতে হবে ও নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে;
২. এক্ষেত্রে এ প্রতিরোধ লড়াইয়ের মূল সংগঠন স্বাস্থ্যসেবা আমলাদের হাত থেকে নিয়ে পেশাদার রোগতত্ববিদ, ভাইরোলজিস্ট, মাইক্রো বায়োলজিস্ট, প্রতিরোধে ফ্রন্টলাইনে থাকা যোদ্ধা চিকিৎসকদের সমন্বিত নেতৃত্বে পরিচালিত করতে হবে; ৩. চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী, সহায়তাকর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে এবং পিপিইর যথাযথ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা বিমার ব্যবস্থা করতে হবে; ৪. রফতানি শিল্পশ্রমিক-কর্মচারীদের মতো অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমজীবি-কর্মজীবি, গ্রামীণ শ্রমজীবী নারী-পুরুষের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন ও তা বিতরণের জন্য কেন্দ্র থেকে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত স্থানীয় প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, শ্রমিক-কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা পরিচালনা করতে হবে;
Advertisement
৫. শিল্পকারখানা, অফিস আদালতে কর্মী ছাঁটাই এক বছরের জন্য পরিপূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে;
৬. শিল্প বাণিজ্যিক উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দিতে হবে;
৭. কৃষকের ধান ও অন্যান্য পণ্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে সরকার তা কিনে নেবে এবং গুদাম না থাকলে কৃষকের কাছেই মজুত রাখতে হবে। তাদের চাষের উপকরণের মূল্য হ্রাস করতে হবে এবং সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদকে উৎসাহিত করতে হবে। ৮. যুবকদের কর্মসংস্থান, বেকার ভাতা, স্টার্টআপ ক্যাপিটালের শর্ত সহজ করা ও তার অঙ্কের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে; এবং
৯. সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমসমূহকে স্বাধীন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশের নিশ্চয়তা বিধান এবং বিশেষ করে এক্ষেত্রে আইসিটি আইনে বিতর্কিত ধারাগুলো বাতিল করতে হবে।
Advertisement
ওয়ার্কার্স পার্টি আশা করে, এ ধরনের দুর্যোগ অবস্থায় অতীতের মতো জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও তার পরবর্তীতে অর্থনৈতিক পুনর্বাসন নিশ্চিত করা সম্ভব।
পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সঞ্চালন করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
যুক্ত ছিলেন পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, ড. সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, হাজেরা সুলতানা, কামরূল আহসান, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, জ্যোতি শংকর ঝন্টু, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, হাজি বশির ও অধ্যাপক নজরুল হক নীলু।
এইউএ/এসআর/এমএস