চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়া এলাকার এক বৃদ্ধ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় নতুন করে বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালের আরও পাঁচজনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর হয়েছে। এদের মধ্যে ওই হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান, নার্স ও ওয়ার্ড বয় রয়েছে। এর আগে ওই হাসপাতালের তিন চিকিৎসকসহ ১৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল।
Advertisement
শনিবার (৪ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১২টার দিকে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা মো. বাবুল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এক রোগীর করোনা শনাক্ত হওয়ায় প্রথম দফায় ১৮ জনের পর আরও পাঁচজনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- ওই রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন এমন তিন চিকিৎসক, সাতজন নার্স, বাকিরা হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান, ও ওয়ার্ড বয়।’
এর আগে, সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী জানান, শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। ৬৭ বছর বয়সী আক্রান্ত ওই ব্যক্তি বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে আছেন। এদিকে করোনাভাইরাস ধরা পড়ার আগে ওই ব্যক্তি নগরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ায় ওই হাসপাতালের তিন চিকিৎসকসহ ১৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
এদিকে, ওই রোগীর মেয়ে ও বেয়াইন ওমরা ফেরত জানার পর সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চারটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর এ আলম।
নূর এ আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চারটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ওই বাড়িগুলোতে ১২টি পরিবার বসবাস করেন। পুলিশি পাহারা বসিয়ে বাড়িগুলোতে যে কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে, ওই চারটি বাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারবেন না।’
আবু আজাদ/এফআর/এমএস
Advertisement