যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার যশোর জেলা প্রশাসনের কাছে ১০ হাজার প্যাকেট খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
Advertisement
শুক্রবার বিকেলে যশোর শহরের কাঁঠালতলাস্থ শাহীন চাকলাদারের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনের কাছে এসব খাদ্য সহায়তা তুলে দেয়া হয়। শাহীন চাকলাদারের পক্ষে খাদ্য সহায়তা বুঝিয়ে দেন তার চাচাতো ভাই যুবলীগ নেতা তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু।
জানা গেছে, যশোর জেলার আট উপজেলায় গরিব অসহায় কর্মহীনদের মাঝে শাহীন চাকলাদার প্রদত্ত এসব খাদ্য সহায়তা বিতারণ করা হবে। যার মধ্যে যশোর জেলার কেশবপুর পৌরসভায় ৪শ প্যাকেট, মণিরামপুর পৌরসভায় দেড়শ প্যাকেট, নওয়াপাড়ায় দেড়শ প্যাকেট এবং যশোর জেলার ৯৩টি ইউনিয়নের মানুষের মাঝে অবশিষ্ট খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
প্রতি প্যাকেটে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি আলু, আধা লিটার সয়াবিন তেল, আধা কেজি পেঁয়াজ রয়েছে।
Advertisement
খাদ্য সহায়তা প্রদানকালে জেলা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আফজাল হোসেন, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান বিপু, চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তালিকার প্রেক্ষিতে এ খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, অনেক অসহায় গরিব করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মানতে গিয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। তাদের ঘরে পর্যাপ্ত খাবার নেই। সরকারিভাবে বিভিন্ন ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে শাহীন চাকলাদার করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এটি মহতি উদ্যোগ। সমাজের বিত্তবানদের এসব অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান বিপু জানান, পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। প্রতিরোধে কাজ করছেন শাহীন চাকলাদার। করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। যশোর জেলার ১০ হাজার গরিব-অসহায়কে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তার এ মহতি উদ্যোগ করোনার প্রার্দুভাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।
মিলন রহমান/এমএএস/পিআর
Advertisement