শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সফলতা দেখিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে সিঙ্গাপুর। কিন্তু গত একমাসে সেই সাফল্যে যেন কিছুটা ভাটা পড়েছে। মার্চের শুরুতেও দেশটিতে করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলেন একশ’র মতো। কিন্তু মাস শেষ না হতেই সেই সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একারণে করোনার বিস্তার ঠেকাতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনাবশ্যক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সিঙ্গাপুর সরকার।
Advertisement
শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং বলেন, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে আমাদের এখনই দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া উচিত। একারণে ধীরে ধীরে বাড়ানোর পরিবর্তে আগামী কয়েক সপ্তাহ চূড়ান্ত নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, খাদ্যপ্রতিষ্ঠান, বাজার, সুপারমার্কেট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, জরুরি পরিবহন ও প্রধান ব্যাংকিং সেবাগুলোই শুধু চালু থাকবে। এর বাইরে যাবতীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, স্কুল, অনুষ্ঠান বন্ধ। তবে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বিকল্প উপায়ে (অনলাইনে) শিক্ষার্থীদের গৃহশিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
এই নির্দেশনা আগামী ৭ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে এর সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে।
Advertisement
এদিন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে পর্যাপ্ত খাবারের মজুত রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কোনও কিছুর সংকট হবে না।
দেশবাসীকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে গৃহস্থালী ও ব্যবসাক্ষেত্রে সহায়তা আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রতি দিয়েছন প্রধানমন্ত্রী লি।
এর আগে, গত মাসেই গৃহস্থালী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৩০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের কথা জানিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরের অর্থমন্ত্রী।
দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১১৪ জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন পাঁচজন।
Advertisement
সূত্র: রয়টার্সকেএএ/