দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আগামী রোববার (৫ এপ্রিল) রাত ৯টায় আমি আপনাদের কাছ থেকে ৯ মিনিট সময় চাইছি। ওই সময়ে বাড়ির সব আলো বন্ধ করে ঘর বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে মোমবাতি, প্রদীপ বা ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালান। এতেই মহাশক্তির প্রকাশ ঘটবে। এই শক্তির মাধ্যমেই প্রকাশ পাবে আমরা কেউ একা নই, একসঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আছি।’
Advertisement
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ভারতজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। লকডাউন শেষ হলে দেশে করোনা ঠেকাতে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে, সে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যগুলোর কাছে পরামর্শ চেয়েছেন মোদি। বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি ‘এগজিট স্ট্র্যাটেজি’র ওপর জোর দেন।
এদিনের বৈঠকে মোদি বলেন, লকডাউন শেষ হলে কী হবে, সে বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে ‘এগজিট স্ট্র্যাটেজি’ বানাতে হবে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। আর এতে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে মোট ৭২ জনের। ভারতে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে এমন ২০টি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে।
Advertisement
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর আগেই বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অফিদফতরের করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি সাংবাদিকদের জানায়, পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে দুরকম তথ্য আসায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, ৫৩ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৫০ জনের মধ্যে ৯ জন আক্রান্তের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকি ৪১ জনের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তাই এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বের ২৫টি দেশকে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। এর মধ্যে শুধু ভারতই পাচ্ছে ১০০ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার ব্যাংকের নির্বাহী পরিষদের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এমএসএইচ/এমএস
Advertisement