জ্বর, সর্দি ও কাশিতে মারা যাওয়া গার্মেন্টস কর্মী জহিরুলের (২২) মৃতদেহ নিয়ে আসা ও গোসলের কাজে নিয়োজিত ৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে প্রশাসন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার রাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাহতাবপুর গ্রামের গোরস্থানে দাফন করার পর প্রশাসন এ নির্দেশনা দেয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঢাকার গাজীপুরের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন জহিরুল। কয়েকদিন আগে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভর্তি হন ঢাকার একটি হাসপাতালে এবং বুধবার সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পরে তার ফ্যাক্টরির সহযোগীরা মরদেহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এলে সেখানে একটি গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয় তাকে।
পরবর্তীতে প্রশাসন বিষয়টি জানলে তাহিরপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ মাহতাবপুর গ্রামে যান। জহিরুলকে যারা গাজীপুর থেকে বাড়ি নিয়ে এসেছে এবং লাশের গোসলের কাজে যারা নিয়োজিত ছিলেন তাদের ৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা প্রদান করে।
Advertisement
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ঢাকায় যোগাযোগ করেছি। তারা নির্দেশনা দিয়েছেন যে, যারা ঢাকা থেকে লাশ নিয়ে এসেছেন এবং গোসলের কাজে ছিলেন তাদের সবাইকে আগামী দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য বলা হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী বলেন, আমি এ বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর তাহিরপুর থানা পুলিশের ওসি ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তারা সংশ্লিষ্টদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।
মোসাইদ রাহাত/এমএএস/এসআর
Advertisement