করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান ছুটি আরও সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে আগামী ৫ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। তবে ছুটি বাড়ানো হলেও নিটওয়্যার কারখানা বন্ধের সময় বাড়বে না। কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজের অর্ডার থাকলে ৫ এপ্রিল থেকে খোলা রাখা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর যেসব কারখানা এ সময় বন্ধ থাকবে তারা শ্রমিকদের পাওনা নিয়ম অনুসারে পরিশোধ করবে। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) এক নির্দেশনায় এসব কথা বলেছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।
Advertisement
সংগঠনের সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এক বিশেষ নির্দেশনায় বলেন, ৪ এপ্রিলের পর থেকে কারখানা চালু রাখবেন কিনা বা বন্ধ রাখবেন-এটি আপনার সিদ্ধান্ত। যদি কেউ কারখানা চালু রাখেন তাহলে করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে আপনার শ্রমিকদেরকে রক্ষা করবেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিধি মেনে কারখানা পরিচালনা করবেন।
তার মানে হলো ৪ এপ্রিলে পর্যন্ত বিকেএমইএর পক্ষ থেকে কারখানা বন্ধ রাখার যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল, তা আর ৪ এপ্রিলের পর থেকে থাকছে না। তবে কারখানা চালু কিংবা বন্ধ রাখার বিষয়টি বিকেএমইএকে জানাতে হবে।
বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, কারখানা খোলা বা বন্ধ যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুন না কেন, সব শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন অবশ্যই সময়মতো প্রদান করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বেতন প্রদানে দেরি করা যাবে না। শ্রমিক অসন্তোষ যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
Advertisement
এদিকে আগামী ৪ এপ্রিলের পর থেকে দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো চালু রাখার পক্ষে মালিকরা। তবে এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাকের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, আমরা চাই ৪ এপ্রিলের পর থেকে কারখানাগুলো চালু থাকুক। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে। এসআই/এসআর