কঠোর গোপনীয়তা আর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও’র মরদেহ দাফন করা হয়েছে। সোমবার ভোরে নগরীর মুন্সিপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে রাত আড়াইটার দিকে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ তার মরদেহ জাপানি দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে সেখানেই ফরেনসিক বিভাগের সামনে জানাযার নামাজ শেষে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মুন্সিপাড়া কবরস্থানে দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।মরদেহ দাফনের বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সিটি কর্পোরেশন মুখ না খুললেও মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয় সিন্ধু তালুকদার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, মুসলমান শরীয়াহ অনুযায়ী হোসি কুনিও’র জানাযার নামাজ ও দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। এসময় তিনি ছাড়াও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।কবরস্থানের পাশের এলাকাবাসী আহসান হাবীব জাগো নিউজকে জানান, রাত আড়াইটার দিকে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক গাড়ি ও পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পান তিনি। এসময় তিনি পুলিশ সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে এক বিশেষ ব্যক্তির কবর জিয়ারত করার কথা বলেন তাকে। এদিকে, কবরস্থানে নিরাপত্তা বজায় রাখতে মঙ্গলবার দিনেও পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। দাফনের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রসঙ্গত, গত ২৭ রমজান স্থানীয় মুন্সিপাড়া কাদেরীয়া জামে মসজিদের ইমাম সিদ্দিক হোসেনের হাতে বায়াত গ্রহণ করে কলেমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও। পরে তার নাম রাখা হয় গোলাম মো. কিবরিয়া। এরপর মসজিদে নামাজও আদায় করেছিলেন তিনি। গত ৩ অক্টোবর কাউনিয়ার কাচু আলুটারী গ্রামে নিজ খামার দেখতে যাবার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন তিনি। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ময়নাতদন্ত শেষে হিমঘরে রাখা হয় তার মৃতদেহ। নিহতের ১১দিন পর সোমবার মুন্সিপাড়া কবরস্থানে শায়িত হন হোসি কুনিও ওরফে গোলাম মো. কিবরিয়া।জিতু কবীর/এমজেড/এসএস/এমএস
Advertisement