মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন মালয়েশিয়ার রাজা ইয়াং ডি-পার্টুয়ান আগোং আল-সুলতান আবদুল্লাহ রিয়াতউদ্দিন আল-মুস্তফা বিল্লাহ শাহ। সুলতান আবদুল্লাহ সরকারকে তার নিজেরসহ স্ত্রীর মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত ছয় মাসের রয়্যাল এমোলিউমেন্ট (বেতন-ভাতা) খরচ কোভিড-১৯ তহবিলে দান করেছেন।
Advertisement
এক বিবৃতিতে, ইস্তানা নেগারা রয়্যাল হাউজের নিয়ন্ত্রক দাতুক আহমেদ ফাদিল শামসুদ্দিন বলেছেন, কোভিড -১৯ মহামারি মোকাবিলায় সরকারের বোঝা হ্রাস করার জন্য রাজা এই সিদ্ধান্ত নেন।
আহমদ ফাদিল বলেন, রাজার এমন সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীরা এবং উপ-মন্ত্রীদের দুই মাসের বেতন কোভিড- ১৯ তহবিলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
ফাদিল বলেন, ‘রাজার এমন সম্মতি দেশের আর্থিক পরিস্থিতির বিষয়ে তার গভীর উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে। প্রধানমন্ত্রী তান শ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনকে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। সুলতান আবদুল্লাহ এবং রয়্যাল হাইনেস টুনকু আজিজাহ আমিনাহ মাইমুনাহ কর্মরত সকল চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের কাছে তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন’।
Advertisement
এই মহামারি প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে তাদের একনিষ্ঠ সেবা, নিষ্ঠা এবং অক্লান্ত ত্যাগের জন্য চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের, বিশেষত ফ্রন্টলাইনারদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
সুলতান আবদুল্লাহ কোভিড -১৯ মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ায় একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক সেবা সংস্থার কাছ থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার পরে সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং জড়িত সমস্ত সংস্থার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আহমদ ফাদিল বলেন, সুলতান আবদুল্লাহ জনগণকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং মালয়েশিয়া সর্বদা আল্লাহর দয়ায় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং এই মহামারি কার্যকরভাবে দ্রুত নির্মুল হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার আহ্বান জানান।
এদিকে গত ২৫ মার্চ, মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মরগান বলেছে, যে কোভিড ১৯ মহামারি বিস্তার রোধে মালয়েশিয়ার সরকারের পদক্ষেপ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। কম মৃত্যুর হারের সঙ্গে মালয়েশিয়ার অতিদ্রুত পরীক্ষার কৌশল আসিয়ান দেশগুলোসহ ইউরোপীয়দেশগুলোও এগিয়ে আসবে।
Advertisement
এতে আরও বলা হয়েছে, চলাচলের সাম্প্রতিক সীমাবদ্ধতাগুলিও এই বিস্তারকে কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত মুভমেন্ট কন্ট্রোল জারি করা সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
এ সময়সীমার মধ্যে দেশের সর্বসাধারণ কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। প্রয়োজন ছাড়া কেউই বের হতে পারছেন না। মালয়েশিয়ায় এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫০ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৩১১৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭৬৭ জন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেশটিতে কোনো বাংলাদেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এমআরএম/পিআর