শুধু উদ্বেগ, উৎকন্ঠা আর শঙ্কা থেকে সতর্ক-সাবধানী আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাই শেষ কথা নয়। দেশে বিদেশে নানা শ্রেণি, পেশার সর্বস্তরের মানুষ এখন কোন না কোনভাবে করোনাভাইরাসের কারণে অসহায় হয়ে পড়া মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
Advertisement
বেশিরভাগ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন অর্থ দিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে কার্যকর অবদান রাখছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার অনেকেই এরই মধ্যে এগিয়ে এসেছেন। দেশের জাতীয় ক্রিকেটাররাও করোনা রোধে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত ১৭ জন আর সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলে খেলা আরও ১০ জন- মোট ২৭ জাতীয় ক্রিকেটার মিলে করোনা সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফান্ডে ৩০ লাখ ১৫ হাজার টাকা দিয়েছেন।
এবার আরও ৯১ ক্রিকেটার এগিয়ে এসেছেন করোনার বিপক্ষে লড়াইয়ে। এরই মধ্যে জানা হয়ে গেছে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা বোর্ডের কাছ থেকে মাসিক ভাতা পান, সেই ৯১ জন তাদের এক মাসের বেতনের অর্ধেক টাকা করোনা ফান্ডে দেবেন।
Advertisement
ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল এরই মধ্যে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। জাগো নিউজসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে অংশ নেয়া ঐ ৯১ ক্রিকেটারের অর্থ দানের খবর চাউর হয়েছে।
তবে কোয়াব সরবরাহকৃত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা নেই। এ বিষয়ে কোয়াবের করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির সদস্য সসচিব দেবব্রত পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘যেহেতু ৯১ ক্রিকেটারের বেতন এক কাঠামোতে না, তিন ক্যাটাগরিতে। তাই আমরা জানি না আসলে কার বেতন কত? সবার মাসিক মূল বেতনের পরিমাণ জানা গেলে, তখন বলা যাবে আসলে কত টাকা হয়েছে।’
তবে একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা ৯১ ক্রিকেটারদের এক মাসের বেতনের অর্ধেক পরিমাণ টাকার অঙ্ক হলো ৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৭৫। তারা এই অর্থ দান করছেন কোয়াবের করোনা ফান্ডে।
উল্লেখ্য, বিসিবি তিন ক্যাটাগরিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা ৯১ ক্রিকেটারকে মাসিক ভাতা দেয়। সেটা সিনিয়ারিটির ভিত্তিতে করা। যারা বেশিদিন ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছেন তাদের মাসিক বেতন ২৮ হাজার ৭৫০ টাকা। তাদের পরে যারা জাতীয় লিগ খেলতে শুরু করেছেন, তাদের বেতন ২৩ হাজার ৭৫০ টাকা। আর জুনিয়র ক্যাটাগরির বেতন হলো ১৭ হাজার ২৫০ টাকা।
Advertisement
এআরবি/এসএএস/জেআইএম