করোনাভাইরাসের কারণে বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আটকে গেছে। মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি সুবিধাছাড় দেয়া হয়নি। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। তবে সব প্রক্রিয়া শেষে বেতনের অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পাঠানো হবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে জানা গেছে।
Advertisement
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত ১৭ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিজ বাসায় অবস্থান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নির্ধারিত সময়ে বেতন পেলেও এখনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সরকারি বেতনের অংশ (এমপিও) ছাড়করণ হয়নি। এ অর্থ ব্যাংকে জমা দেয়া হলেও তা শিক্ষক-কর্মচারীদের হাতে পৌঁছাতে আরও অর্ধমাস সময় লেগে যাবে। এ কারণে ক্ষুব্ধ সারাদেশের প্রায় সাড়ে চার লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর দিনরাত বাসায় অসহনীয় সময় পার করতে হচ্ছে আমাদের। তার মধ্যে মাস শেষ হলেও এখনো আমাদের এমপিওভুক্তির অর্থছাড় দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, বেতন না পেয়ে শিক্ষকরা বাড়িভাড়া দিতে পারছেন না। সরকার ব্যাংকের লোনের কিস্তি আদায় বন্ধ করার ঘোষণা দিলেও ব্যাংকগুলো নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। শিক্ষকরা প্রায় ১৫ দিন ঘরে বসা। ঘরের বাজার শেষ। পকেট খালি, চারদিকে আমাদের অন্ধকার হয়ে আসলেও নিজের অভাব ও অভিযোগের কথা কাউকে বলতে পারছি না। এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের সাড়ে চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন।
Advertisement
এই শিক্ষক নেতা বলেন, সামনে আসছে রোজা ও রোজার ঈদ। আমাদের ঈদ বোনাস মাত্র ২৫ শতাংশ, যা ১৬ বছরেও পরিবর্তন হয়নি। করোনাভাইরাস শিক্ষকদের মুখের অন্নকে গ্রাস করেছে। মার্চ মাসের বেতন ও ভাতা এখনো ছাড়া হয়নি। আজ-কালের মধ্যে এ অর্থ ছাড় হলেও তা তুলতে আরও ১৫ দিনের বেশি লেগে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ছাড়ের সকল কাজ শেষ হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) বা আগামী রোববার বেতন-ভাতার চেক ব্যাংকে দেয়া হবে।
এ নিয়ে শিক্ষকদের দুশ্চিন্তা না করার পরামর্শ দেন অধিদফতরের মহাপরিচালক।
এমএইচএম/এইচএ/এমকেএইচ
Advertisement