জাতীয় সংসদে জানাজা পেলেন না চলমান একাদশ জাতীয় সংসদের এমপি সাবেক ভূমিমন্ত্রী, ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গার্ড অব অনার পাওয়ার কথা থাকলেও তাও হয়নি। শেষ বিদায়ের সময় পেলেন না রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের ফুলেল শুভেচ্ছাও।
Advertisement
করোনাভাইরোসের কারণে জনসমাগম ঠেকাতে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা না হওয়ায় এসব থেকে বঞ্চিত হলেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদে অনেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য থাকলেও তিনিই একমাত্র ভাষাসৈনিক ছিলেন।
তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, পাঁচ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
এর আগে গত ১৮ মার্চ করোনা আতঙ্কে সাবেক এমপি ও হুইপ সৈয়দ শহীদুল হক জামালের নির্ধারিত জানাজা বাতিল করে সংসদ সচিবালয়। তারও আগে বিএনপির আরেক এমপির জানাজা হলেও দলটির শীর্ষ নেতারা ছিলেন অনুপস্থিত।
Advertisement
জানা যায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের মৃত্যুর পর রীতি অনুযায়ী সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজার জন্য ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি আকার ধারণ করায় তিনি জানাজা না করার পক্ষে মত দেন।
এ বিষয়ে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, মনটা খুবই ভারাক্রান্ত। সাবেক ভূমিমন্ত্রী, ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন আর আমরা তার জানাজা করতে পারলাম না। ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে শেষ বিদায় জানাতে পারলাম না। সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা হবে কিনা তা তার পরিবারের একজন জানতে চেয়েছিল। আমাকে না করতে হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে ঈশ্বরদীতে স্বল্প পরিসরে জানাজা শেষে লক্ষ্মীকুণ্ডা গ্রামে তার প্রিয় জন্মস্থানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মার কবরের পাশে তার মরদেহ দাফন করা হবে। কবরের স্থান তিনি নিজেই ঠিক করে রেখেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সেখানে তাকে গার্ড অব অনারও দেয়া হবে।
এইচএস/বিএ/এমকেএইচ
Advertisement