করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে ব্রিটেনে। এরই মধ্যে সেখানে ১৯ ব্রিটিশ-বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। ফলে লন্ডনসহ বিভিন্ন এলাকার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
Advertisement
সবশেষ হিসাবে ব্রিটেনে সাড়ে ২৯ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২ হাজার ৩৫২ জন।
জানা যায়, মার্চ মাসের শুরুতে ম্যানচেস্টারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। দিনে দিনে বেড়ে দেশটিতে মৃত ব্রিটিশ-বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯-এ। এভাবে করোনা ভাইরাস প্রাণ কাড়তে থাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্য মতে, গত ৩১ মার্চ লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান সুনামগঞ্জের এক তরুণ। তার বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর। ৩০ মার্চ মারা যান পূর্ব লন্ডনের ডকল্যান্ড এলাকার এক প্রবীণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব। তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৯০ বছর। তার বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমায়
Advertisement
২৯ মার্চ লন্ডন হাসপাতালে মারা যান ৮০ বছর বয়সী সুনামগঞ্জের আরেকজন। সেদিন লন্ডনের এনফিল্ডের একটি হাসপাতালে ৫০ বছর বয়সী আরেকজন। তার বাড়ি সিলেটে।
২৮ মার্চ লন্ডনের কিং জর্জ হাসপাতালে মারা যান এক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি। ৬৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সিলেটের বালাগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন। একইদিন পূর্ব লন্ডনের নিউহাম হাসপাতালে আরেকজন মারা যান। সেদিন লন্ডনের ইউসিএল হাসপাতালে মৃত্যু হয় ক্যান্সার আক্রান্ত ৫০ বছর বয়সী একজনেরও। তার বাড়ি জামালপুর জেলায়।
২৭ মার্চ পূর্ব লন্ডনের বাসিন্দা এক নারী রয়্যাল লন্ডন হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৭০ বছর। ওইদিন ম্যানচেস্টার হাসপাতালে মারা যান ফেনীর ফুলগাজীর বাসিন্দা আরেকজন। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। সেদিন বাংলাদেশি কমিউনিটির এক পরিচিতমুখও মারা যান। সিলেটের ওই ব্যক্তির বয়স হয়েছিল প্রায় ৬০ বছর।
২৫ মার্চ রয়্যাল লন্ডন হাসপাতালে একজন, ২৪ মার্চ ৪৯ বছর বয়সী একজন (বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর), ২৩ মার্চ ৮০ বছর বছর বয়সী একজন (বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার), ১৬ মার্চ গ্রেট অরমন্ড হাসপাতালে এক আওয়ামী লীগ নেতা (৭০), ১৩ মার্চ রয়্যাল লন্ডন হাসপাতালে একজন (৬৬) মারা যান।
Advertisement
৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মারা যান ম্যানচেস্টারে বসবাসরত ৬০ বছর বয়সী একজন।
এদিকে আক্রান্ত বাড়লেও আতঙ্কিত না হয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন কমিউনিটি নেতারা।
এইচএ/জেআইএম