আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়াল

করোনাভাইরাস সংক্রমিত মহামারি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া হিসাবের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

Advertisement

এর আগে করোনাভাইরাসের হালনাগাদ হিসাব রাখা জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সর্বোচ্চ ৮৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। সর্বশেষ মারা গেছে ৬ সপ্তাহ বয়সী এক শিশু।

অনেক আগেই করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বের সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১৬ হাজারের বেশি। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মজুত চিকিৎসা সরঞ্জামও শেষের পথে।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে দেশটির প্রভাবশালী এই দৈনিকটি জানিয়েছে, এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়াও অন্যান্য অঙ্গরাজ্য সরকার চিকিৎসা ও সুরক্ষা সরঞ্জাম পেতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

Advertisement

তবে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, চিকিৎসা সরঞ্জাম পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহের চেষ্টা চলছে। এজন্য ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার বরাদ্দ হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি যেভাবে প্রকট আকার নিচ্ছে তা কতটা সামাল দেওয়া সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা এখন ৫ হাজার ১১০ জন। এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছেই। এছাড়া গত একদিনে দেশটিতে নতুন করে আরও ২৫ হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবকটিতেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সবচেয়ে বাজে অবস্থা জনবহুল অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্কের। শুধু নিউইয়র্কেই ১ হাজার ৩০০ এর বেশি মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ট্রাকে করে শহরের হাসপাতাল থেকে মরদেহ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে কানেক্টিকাটে গতকাল ছয় সপ্তাহের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই প্রথম সবচেয়ে এত কম বয়সীর মৃত্যু হলো যুক্তরাষ্ট্রে।

Advertisement

নতুন করে আরও তিন অঙ্গরাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য তিনটি হলো ফ্লোরিডা, জর্জিয়া এবং মিসিসিপি। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫ শতাংশের বেশি মানুষ এখন লকডাউন পরিস্থিরি মধ্যে রয়েছেন। ২ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খোদ যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

এসএ