আন্তর্জাতিক

করোনার সংক্রমণ ঠেকাবে ত্রিফলা, দাবি ভারতীয় বিজ্ঞানীর

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে নয় লাখ। আর মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪৭ হাজার মানুষের।

Advertisement

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের হাত থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায়, তার উত্তর খুঁজছে গোটা বিশ্ব। ল্যাবরেটরিতে বিনিদ্র রজনী কাটেছে বিশ্বের সব গবেষক-বিজ্ঞনীদের। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে ভারতের এক বাঙালি বিজ্ঞানীর দাবি ত্রিফলাই পারে করোনার সংক্রমণ রোধ করতে।

ভারতীয় বাঙালি গবেষক অধ্যাপক রাজাগোপাল চট্টোপাধ্যায় এমন দাবি করেছেন। বোস ইনস্টিটিউটের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে গবেষণা করছেন তিনি। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন আমলকি, হরিতকি, বহেড়া, খয়ের, বিলাতি আমড়া, কুলত্থ কলাই এবং অনন্তমূলের ভেষজ প্রয়োগে ক্যান্সার নিরাময়ের কথা। ২০১৬ সালে রাজাগোপাল ও তার ছাত্রী ইন্দ্রাণী করের প্রকাশিত গবেষণাপত্রে ক্যান্সার নিরাময়ে এসব ভেষজের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু নানা জটিলতায় এই ওষুধের কোনো প্রয়োগ হয়নি আজও।

রাজাগোপাল চট্টোপাধ্যায় জানান, যে কোনো জীবাণু তার জিনগত বৈশিষ্ট্য বহন করে ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড, ডিএনএ অথবা রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড, আরএনএ রূপে। করোনা হল আরএনএ ভাইরাস। ফলে এর মিউটেশনের হার অত্যন্ত বেশি। সে ক্ষেত্রে করোনার বিস্তার কমাতে রোধ করতে হবে আরএনএ’র সিন্থেথিস। ত্রিফলাসহ ভারতীয় ভেষজ উদ্ভিদের উপাদান এই সিন্থেসিস ঠেকাতে সক্ষম বলে রাজাগোপালের ধারণা।

Advertisement

তিনি বলেন, ক্যান্সারের ক্ষেত্রে যেমন ডিএনএ’র উপাদানগুলো ভেষজ নির্যাসের প্রভাবে ধ্বংস হয়, করোনার ক্ষেত্রেও আরএনএ’র নির্মাণে জরুরি নিউক্লিওসাইড নিউক্লিওটাইডগুলো, ফেনটনের মতো উপাদানগুলি ধ্বংস হবে। এতে আরএনএ তৈরি স্তিমিত হবে।

গবেষণাগারে করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরি এক দীর্ঘপথ। তার আগে করোনার বিস্তার ঠেকাতে এই ভেষজ উপাদানগুলো বিশেষ উপকারী হবে বলে মনে করেন রাজাগোপাল। তাই তার পরামর্শ হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত আমলকি, হরিতকি, বহেরা, খয়ের, বিলাতি আমড়া খাওয়া জরুরি। বিলাতি আমড়া পাওয়া না গেলে, বেদানা বা ডালিমেও কাজ হতে পারে।

ভারতীয় উপমহাদেশে বিভিন্ন রোগে ভেষজ চিকিৎসা প্রাচীনকাল থেকেই সুবিদিত। ভারতীয় উপমহাদেশ, চীনসহ বিশ্বের অনেক দেশের কিছু সংখ্যক মানুষ এখনও ভেষজ চিকিৎসায় আস্থা রাখেন। সেই ভেষজের অন্যতম হল ত্রিফলা বা আমলকি, হরিতকি ও বহেরা।

এমএফ/জেআইএম

Advertisement