আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সব বিদেশি নাগরিকের জন্য ভিসা অন অ্যারাইভাল বন্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যেসব ভ্রমণকারী ১ মার্চ থেকে পরবর্তী সময়ে ইউরোপ এবং ইরানে বসবাস করছেন তারা ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন না।
Advertisement
তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইরানের নাগরিক যারা ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই এলাকার বাইরে ছিলেন তারা বৈধ ভিসা থাকা সাপেক্ষে বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বৈধ ভিসায় বিদেশি নাগরিক যারা নতুন ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদেরকে সর্বশেষ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যুকৃত করোনা লক্ষণ মুক্ত মর্মে চিকিৎসকের সনদ (ইংরেজিতে অনুবাদকৃত) জমা দিতে হবে এবং বাংলাদেশে আগমনের সময় ইমিগ্রেশন কাউন্টারে প্রদর্শন করতে হবে।
বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসে কর্মরত কূটনৈতিক, অফিশিয়াল এবং লেইসেজ প্যাসার পাসপোর্টধারী ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা (যদি সাধারণ পাসপোর্টধারী হয়) নিষেধাজ্ঞা বহির্ভূত থাকবে তবে বাংলাদেশে আগমনের পর তাদের সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
Advertisement
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত যে কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশি বা বিদেশি নাগরিকের দেশে আসার ক্ষেত্রে আগমনের পরে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। অ্যান্টি পোর্টের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন বা সরকার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থাকার বিষয়টি নির্ধারণ করবেন।
প্রচলিত বিধি অনুযায়ী জাহাজের নাবিকরা ৭২ ঘণ্টার জন্য ভিসা অন অ্যারাইভাল নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। তারা এয়ারপোর্ট থেকে কর্মস্থল এবং কর্মস্থল থেকে এয়ারপোর্টে যাতায়াত ব্যতীত দেশের ভেতরে অন্য কোথাও অবস্থান করতে পারবেন না। তাদেরকে করোনা লক্ষণ মুক্ত মর্মে চিকিৎসকের সনদ এন্ট্রি পোর্টের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে প্রদর্শন করতে হবে।
যেসব দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্ট ধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি আছে, সেসব দেশের কূটনৈতিক এবং অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীরা চুক্তি অনুযায়ী ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। তাদেরকে করোনা লক্ষণ মুক্ত মর্মে চিকিৎসকের সনদ এন্ট্রি পোর্টের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে প্রদর্শন করতে হবে।
করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে বাংলাদেশে অবস্থানকারী (নিয়মিত ও অনিয়মিত) বিদেশি নাগরিকদের বর্তমান ভিসা তাদের আবেদন সাপেক্ষে তিন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদি কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ‘নো ভিসা রিকোয়ার্ড' ফোল্ডার করোনা ভাইরাস লক্ষণ মুক্ত মর্মে চিকিৎসকের সনদপত্র ছাড়া বাংলাদেশে আগমন করেন তাকে ঢাকায় ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। চিকিৎসকের সনদপত্রসহ আগমনের ক্ষেত্রে তাকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে।
Advertisement
এমইউ/এএইচ