জাতীয়

চট্টগ্রামে মারা যাওয়া কিশোরের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ

সর্দি, কাশি ও জ্বর নিয়ে কিশোর ওমর ফারুককে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) কক্সবাজার সরকারি হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছিল। বুধবার (১ এপ্রিল) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

Advertisement

কিন্তু চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে মারা যাওয়া এ কিশোরের নমুনাতেও করোনা ভাইরাসের প্রমাণ মেলেনি। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) পরিচালক মো. আবুল হাসান।

এদিকে সর্দি, কাশি ও জ্বরসহ করোনা রোগের লক্ষণ থাকায় মৃত ওমর ফারুকের বাবা আবদুল হামিদকেও করোনা সন্দেহে তার নমুনা পরিক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু করোনার লক্ষণ থাকার পরেও পরপর এ তিনটি রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এ নিয়ে মানুষের মনে নানা শঙ্কা উঁকি দিচ্ছে।

জানা যায়, মারা যাওয়া কিশোরের বাড়ি কক্সবাজারের বৈদ্যঘোনা এলাকায়। তার বাবার নাম আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার রাতে তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। তার নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হয়। রোগী বা তার বাবার বিদেশফেরত কারো সংস্পর্শে থাকার ইতিহাস নেই।

Advertisement

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বিভাগীয় সমন্বয়ক আ ন ম মিনহাজুর রহমান জানান, সকালে ওই কিশোরের মৃত্যু হলে সঙ্গে সঙ্গে তার নমুনা বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। বিকালে নমুনা দুটির পরীক্ষা শুরু করে রাতে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। দুজনের কারও নমুনায় করোনার প্রমাণ মেলেনি।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে বিআইটিআইডিতে আইসোলেশনে মারা যান সীতাকুন্ডের এক মহিলা। পরে তার নমুনা পরীক্ষায়ও করেনা 'নেগেটিভ' রিপোর্ট পাওয়া যায়। এর আগে ২৮ মার্চ সকালে বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে মারা যান শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে ভুগতে থাকা এক নারী। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার নমুনা রেখেছিল বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, সে নমুনাতেও করোনা শনাক্ত হয়নি।

আবু আজাদ/এএইচ

Advertisement