২০১৬ সালের মার্চ থেকে জুলাই মাসের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদগুলোর মেয়াদ শেষ হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী বছরের মার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে সবগুলো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রস্ততি নিয়ে মাঠে নামছে। ফলে জানুয়ারি মাস থেকে তফসিল ঘোষণা করতে হবে ইসিকে। এ নিয়ে একাধিকবার বৈঠকও করেছে ইসি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় জানুয়ারি মাস থেকে পর্যায়ক্রমে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।এ বিষয়ে ইসির সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ১ অক্টোবর ৪ হাজার ৫৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা, শপথ ও পরিষদের প্রথম সভার তারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য কমিশনে পাঠিয়েছে। এখন আমরা নির্বাচন উপযোগী ইউপিগুলোর তালিকা করব। মামলা বা অন্য কোনো কারণে জটিলতা রয়েছে কি না সেসব তথ্যও উপস্থাপন করা হবে।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে পর্যায়ক্রমে সবগুলো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য কাজ করছে ইসি। এজন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদের সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি।নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক বলেন, পৌর নির্বাচনের পর মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করবে ইসি। তবে এটি নির্ভর করছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের উপর। কোনো কারণে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশে দেরি হলে এসব নির্বাচনও দেরি হতে পারে। তবে সঠিক সময়ে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে।স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী, আগের নির্বাচনের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে (মেয়াদ শেষের আগের ১৮০ দিন) নির্বাচন করতে হবে। পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ থাকবে পরিষদের প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর।দেশে এ পর্যন্ত আটটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন (১৯৭৩, ১৯৭৭, ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩ এবং ২০১১) হয়েছে। সর্বশেষ ২০১১ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ভোট চলে।দেশজুড়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলায় নতুন ভোটাররা ডিসেম্বরে পৌর নির্বাচনে ভোট না দিতে পারলেও ইউপি নির্বাচনে তাদের সেই সুযোগ হতে পারে। ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর হালনাগাদ তালিকা দিয়েই এ নির্বাচন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা। এইচএস/এআরএস/এমএস
Advertisement