আন্তর্জাতিক

শুধু ইউরোপেই মৃত্যু ৩০ হাজার ছাড়াল

মহামারি করোনাভাইরাস শুধু ইউরোপেই ৩০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। বুধবার বৈশ্বিক এক হিসাবের বরাতে এ তথ্য দিয়েছে ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপি। এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মানুষ এত বড় সংকটের মুখে পড়েনি।

Advertisement

ইউরোপে ইতালি এবং ইউরোপের অবস্থা সবচেয়ে কাহিল। শুধু এই দুই দেশেই ২১ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া সাড়ে ৩ হাজার নিয়ে ফ্রান্স এবং প্রায় আড়াই হাজার নিয়ে যুক্তরাজ্যের অবস্থাও বিপর্যস্ত। নেদারল্যান্ডসেও মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। বেলজিয়ামেও প্রাণহানি আটশ’র বেশি।

ইউরোপে প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হচ্ছে স্পেন ও ইতালিতে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬৩ মৃত্যু নিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এছাড়া একই সময়ে স্পেনেও রেকর্ড সর্বোচ্চ ৮৬৪ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ মহাদেশটির বেশিরভাগ দেশ অবরুদ্ধ। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, কল-কারখান, অফিস-আদালত সব বন্ধ।

গত ডিসেম্বরে চীনে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার করোনাভাইরাস বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ অঞ্চলের প্রায় ৯ লাখ মানুষকে আক্রান্ত করেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামনে আমাদের জন্য বেদনাদায়ক দুই সপ্তাহ আসছে।

Advertisement

করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১০ জন। কিন্তু আজ বুধবারের সর্বশেষ হিসাব বলছে, এ সংখ্যাটা ৪ হাজার ৭৬। অপরদিকে উৎপত্তিস্থল চীনে মৃতের সংখ্যা ৩ হজার ৩১০ জন।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ‌১ লাখ ৯০ হাজারের কাছাকাছি। এছাড়া দেশটিতে প্রতিদিন নতুন করে হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় যত মানুষ মারা গেছেন তার ৪০ শতাংশই হয়েছে দেশটির সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্কে। করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়েও নিউইয়র্কের অবস্থান সবার উপরে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস করোনাভাইরাসকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ‘সবচেয়ে ভয়াবহ সংকট’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে মহাসংকটে ফেলেছে বিশ্বকে।

গুতেরেস বলেন, ইউরোপে করোনার সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো এক দিনে তাদের সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যুর খবর দিয়েছে। মহামারি এই ভাইরাস তিন থেকে চার মাসেই গোটা বিশ্বে ভয়াবহ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

Advertisement

পরিস্থিতি যে আরও ভয়াবহ হতে পারে তা মার্কিন সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচির কথাতেই স্পষ্ট। গত রোববার তিনি সিএনএনকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে অবস্থা, তাতে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই মৃতের সংখ্যা ১ লাখ এমনকি ২ লাখও হতে পারে।’

এসএ