দেশজুড়ে

সাতক্ষীরা মেডিকেলে হবে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন সাফায়াত এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

Advertisement

সিভিল সার্জন বলেন, আলোচনার মাধ্যমে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি করোনা পজেটিভ ও সন্দেহজনক যে কোনো রোগীকে আমরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবো। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, চিকিসকগণসহ বিএমএ নেতৃবৃন্দরা একত্রিত বসে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ডা. আজিজুর রহমান, সাতাক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. হাবিবুর রহমান, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. কাজী আরিফ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামসুর রহমান, আরএস ডা. রাশেদুজ্জামান, রেজি. ডা. কল্যাণ, ডা. মানস কুমার, ডা. ফখরুল টিটো, ইন্টার্ন চিকিৎসক সভাপতি ডা. হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক ডা. আমিনুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএমএ সাতক্ষীরা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মনোয়ার হোসেন জানান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পর্যাপ্ত ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত বা সন্দহেজনক রোগীকে সেখানে ভালো পরিবেশে চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হবে। তবে সেখানে চিকিৎসক, নার্সের স্বল্পতা রয়েছে। সেগুলো পূরণ করবেন সিভিল সার্জন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সব থেকে বড় সংকট পিপিই। সেখানে মাত্র ১০টা পিপিই রয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই নয়। সেক্ষেত্রে স্থানীয় চারজন সংসদ সদস্য আন্তরিক হয়ে চেষ্টা করলে পিপিই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। চিকিৎসকরা আন্তরিক রয়েছে। করোনা সংক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবাদানে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেলে চিকিৎসক ও নার্সের স্বল্পতা রয়েছে। সিভিল সার্জন নয়জন ডাক্তার ও নয়জন নার্সের ব্যবস্থা করবেন। মেডিকেলের আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রয়েছে। দুইদিনের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার করোনা সন্দেহজনক রোগী বা করোনা পজেটিভ রোগীর চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি বলেন, মেডিকেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে একজন ভর্তি রয়েছে। তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

আকরামুল ইসলাম/আরএআর/এমকেএইচ

Advertisement