শিশু রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের একটি দল সৌদি আরবের রিয়াদে রয়েছে। আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যেই ইন্টারপোলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ। -খবর বিবিসির।গোলাম মসিহ জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায়, ইন্টারপোলের মাধ্যমে কামরুলকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যেই ইন্টারপোলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কামরুলকে নিয়ে দেশে ফিরবে পুলিশের দলটি।ইন্টারপোলের নিয়ম অনুযায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অপরাধী বিনিময়ের বিধান প্রচলিত রয়েছে। তবে, যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষ করার আনুষ্ঠানিকতার কারণেই কামরুলকে হস্তান্তরে দেরি হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাওয়ে চুরির অপবাদে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে। পেটানোর দৃশ্য নিজেরাই ভিডিওচিত্রে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন ঘাতকরা। সে ভিডিও দেখে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।আলোচিত এই হত্যা মামলার বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এ পর্যন্ত ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সৌদি পলাতক কামরুল ইসলামসহ ১৩ জনকে আসামি করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়। এদের মধ্যে ১০ জন আটক রয়েছেন।কারাবন্দি থাকা ১০ আসামির মধ্যে আটজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রত্যেকেই রাজনকে হত্যার জন্য কামরুলকে দায়ী করেছেন। কামরুলের নির্দশেই তারা রাজনকে নির্যাতনে অংশ নেন বলে সাক্ষ্য দেন অভিযুক্তরা।আরএস/এমএস
Advertisement