দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ঘোষিত সাধারণ ছুটি আরও ৭ দিন বাড়িয়েছে সরকার। ৪ এপ্রিলের স্থলে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বর্ধিত করা হয়েছে।
Advertisement
প্রথম ধাপের ছুটিতে (২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল) সবধরনের গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে বর্ধিত ছুটির আদেশে বলা হয়েছে, রিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।
পর্যায়ক্রমে কীভাবে চালু করা হবে সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি। বুধবার (১ এপ্রিল) ৫ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। আগামী ১০ ও ১১ এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটি এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।
আদেশে বলা হয়েছে, জরুরি পরিষেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে না। কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতামুক্ত থাকবে। জরুরি প্রয়োজনেও অফিস খোলা রাখা যাবে।
Advertisement
প্রয়োজনে ওষুধ শিল্প, উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে। মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে রিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস পর্যাক্রমে চালু করা হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে গণভবন থেকে ৬৪ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের ছুটিটা একটু বাড়াতে হবে। আমরা ১২ দিনের ছুটি দিয়েছিলাম এটা ১৪ দিন হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘এই ছুটিটা সীমিত আকারে আমাদের বাড়াতে হবে। সেটা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সীমিত আকারে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর জন্য সেখানে আমরা চিন্তা-ভাবনা করে বলব, কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সেটা ছাড় দেব এবং চালু রাখা দরকার।’
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে আইইডিসিআর। এরপর দেশে এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে ২৪ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঘোষিত এ ছুটিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয় গণপরিবহন, শপিংমলসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
Advertisement
আরএমএম/এফআর/এমকেএইচ