করোনাভাইরাসের কারণে মহামন্দার মুখে পড়ে গেছে পুরো বিশ্ব। হাজার হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে সারা বিশ্বের। করোনায় এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত ইউরোপ। যে কারণে এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ইউরোপসহ সারা বিশ্বের সমস্ত খেলাধুলা। ফুটবলের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে গেছে ক্রিকেটও। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটের ভরা মৌসুম এখন পুরোপুরি বাতিল হওয়ার পথে।
Advertisement
আন্তর্জাতিক সিরিজও বাতিল হয়েছে ইংল্যান্ডের। শুধু তাই নয়, দেশটিতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যা। খোদ ইংলিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও করোনায় আক্রান্ত। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বৃটিশ সরকার।
এই পরিস্থিতিতে চুক্তিভূক্ত ইংলিশ ক্রিকেটারদের কাছে অন্তত ২৫ ভাগ হলেও পারিশ্রমিক কেটে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। কিন্তু বোর্ডের দেয়া সেই পারিশ্রমিক কর্তনের প্রস্তাবক পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করলো ইংলিশ ক্রিকেটাররা।
ইসিবি প্রস্তাব দিয়েছিল অন্তত আগামী তিন মাস ২৫ ভাগ পারিশ্রমিক কেটে নেয়ার। এই প্রস্তাবটা ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিসিএ) সভাপতি টনি আইরিসের কাছে। ইসিবির সঙ্গে চুক্তিভূক্ত খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে থাকে পিসিএ’ই।
Advertisement
গত ২৯ মার্চ ইসিবি থেকে এই একটি চিঠি পাঠানো হয় পিসিএ’র কাছে। ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন, লিখেছিলেন অন্তত তিন মাস ২৫% পারিশ্রমিক কর্তনের বিষয়ে খেলোয়াড়রা রাজি হোক। কারণ, আধুনিক সময়ে এতটা চ্যালেঞ্জের মুখে আর কখনো এভাবে কেউ পড়েনি।
একই সঙ্গে ইসিবি জানিয়েছে, সংস্থাটির অন্যসব কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং স্বেচ্ছাসেবীদের পারিশ্রমিক ২৫% কমিয়ে দেয়া হয়েছে। ইসিবি নিজেরা যখন বুঝতে পেরেছিল, খেলোয়াড়দের বোঝানোর চেষ্টা করা হবে বৃথা, তাই তারা পিসিএ’র মাধ্যমে প্রস্তাব প্রেরণ করে এবং আশবাদী ছিল, খেলোয়াড়রা অন্তত এই পরিস্থিতিতে বাস্তবতা বোঝার চেষ্টা করবে।
কিন্তু তাদের কাছ থেকে যখন ন্যুনতম আশার নিশ্চয়তা পাওয়া গেলো না, তখন তারাও হতাশ হয়ে গেলো এবং ৩১ মার্চ ইসিবি প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দেন, তারা আর খেলোয়াড়দেরকে পারিশ্রমিক কর্তনের বিষয়ে কোনো অনুরোধ করবেন না।
হ্যারিসন বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আশা করেছিলাম, আমরা একটা উদাহরণ তৈরি করতে সক্ষম হবো। কিন্তু যে ধারণা ছিল, খেলোয়াড়দের কার্যক্রম তার চেয়েও অনেক বেশি দুরে। আমরা শুধু তাদের সহযোগিতা চাইতে পারি এবং তারা যেন বিষয়টা বুঝতে পারে।’
Advertisement
আইএইচএস/