ক্যাম্পাস

বেরোবি দিবস পালন নিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমন্ত্রণ না করায় ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে রংপুরের স্থানীয় গণমাধ্যম, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্যসহ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসেও ছিল অধিকাংশ বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা।জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের মত আয়োজনে শিক্ষক সমিতিকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। এটা উদাসীনতা নাকি এই সংগঠনকে অপমান করা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের উর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কর্মকর্তাদের কেউই অনুষ্ঠানে যাইনি। উপাচার্য মুষ্টিমেয় কিছু শিক্ষক দিয়েই দিবসগুলো উদযাপন করেন। এছাড়া চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে রংপুর প্রেসক্লাব ও রংপুর রিপোর্টারস ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে। রংপুর রিপোর্টারস ক্লাবের সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলু বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ব্যাপক অবদান ছিল। ইতোপূর্বে বিভিন্ন দিবসে জানানো হলেও এবার জানানোই হয়নি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।কথা বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জাগো নিউজকে জানান, গণমাধ্যমকে জানানোর ব্যাপারে দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল হককে বললে আমন্ত্রণ কার্ড সংকট বলে তিনি জানান। তাই আর জানানো হয়নি।এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি ছাত্রলীগ, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, উপাচার্যের উদাসীনতা এবং আয়োজক কমিটির দায়িত্বহীনতার কারণেই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি কোনো ছাত্র সংগঠন।এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটি-২০১৫ এর আহ্বায়ক বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল হক জাগো নিউজকে বলেন, কোনো সংগঠনকেই আলাদাভাবে আমন্ত্রণ করা হয়নি। তাছাড়া দিবস উদযাপন ব্যয় স্বল্পতাও অন্যতম কারণ।সজীব হোসাইন/এসএস/এমএস

Advertisement