ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কাজে বড় জমায়েত হয়েছিল। সেখানে বহু বিদেশি এসেছিলেন। এখন সেখান থেকে করোনা সংক্রমণের খবর আসতে শুরু করেছে। ফলে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ মঙ্গলবার দিল্লির সরকারকে এ বিষয়ে তৎপর হয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আবেদন করে।
Advertisement
এরপর তাবলিগ জামাতের আয়োজক মাওলানা সাদ কান্দলভি ও নিজামুদ্দিন মারকাজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। দিল্লি পুলিশ আগেই নোটিশ দিয়েছিল সাদকে। কিন্তু গত ২৮ মার্চ থেকেই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এফআইআরে আর যাদের নাম রয়েছে- ড. জিশান, মুফতি শেহজাদ, এম সইফি, ইউনুস, মহম্মদ সলমন, মহম্মদ আশরাফ প্রমুখ।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই জামাত থেকে ফিরে দিল্লিতে ২৪ জন, তেলেঙ্গানায় ৬ জন, আন্দামানে ১০ জন, কাশ্মীরে একজন ও তামিলনাড়ুতে ৫০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ওই জামাতে ৮২৪ জন বিদেশি ছিলেন। ইতোমধ্যে পুলিশ সেই তথ্য সংগ্রহ করেছে।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ওই আবেদনে উল্লেখ করে যে, ওই জামাতে উপস্থিতদের মধ্যে ৯৪ জন ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার, ১৩ জন কিরগিস্তানের, ৯ জন বাংলাদেশের, ৮ জন মালয়েশিয়ার, ৭ জন আলজেরিয়ার। এ ছাড়া তিউনিসিয়া, বেলজিয়াম ও ইতালি থেকে একজন করে এসেছিলেন। বাকিরা ছিলেন ভারতীয়।
Advertisement
এদিকে গত ৩৬ ঘণ্টায় ওই মার্কাজ থেকে ২ হাজার ৩৬১ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে ৬১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। এখান থেকে বিভিন্ন রাজ্যে গেছেন মানুষজন। ফলে সব রাজ্যকেই কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ওই জামাতে যারা অংশ নিয়েছিলেন তারা শহরের ১৬টি মসজিদে ছিলেন।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যারা ওই জামাতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। শিগগিরই তাদের কোভিড পরীক্ষা করানো হবে এবং ১৪ দিনের জন্য আবশ্যিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হবে। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্ন থেকে বেরিয়ে লালবাজারে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পুলিশ কমিশনারসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন।
জেডএ/এমকেএইচ
Advertisement