রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের প্রভাতি আয়োজন শুরু ১৯৬৭ সাল থেকে। এরপর ১৯৭১ সাল ছাড়া প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। পহেলা বৈশাখের ছায়ানটের আয়োজনটিকে ঘিরে পুরো ঢাকা শহরের মানুষ একত্রিত হয় রমনায়।
Advertisement
২০০১ সালে ভয়ংকর সিরিজ বোমা হামলার পরের বছরও যে আয়োজন বন্ধ হয়নি। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করতে স্থগিত করা হলো ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজন।
পহেলা বৈশাখে (১৪ এপ্রিল) রমনা বটমূলে ছায়ানটের প্রভাতি আয়োজন ছাড়াও অনুষ্ঠিত হয় চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা। জানা গেছে, এবার শোভাযাত্রাও অনুষ্ঠিত হবে না। শুধু ঢাকার এই দুটি আয়োজন ছাড়াও দেশের কোথাও বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বা বৈশাখী মেলার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
৩১ মার্চ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসমাগম না করে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় এবারের উৎসবটি পালনের নির্দেশ দেন। পরে ছায়ানট থেকেও এবারের আয়োজন স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এবার ১৪২৬ বঙ্গাব্দ আসবে কোনো বড় আয়োজন ছাড়াই।
Advertisement
ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দেশের প্রতিটি মানুষ নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তাই রমনা বটমূলে এবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠানটি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
সারওয়ার আলী জানান, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের বাজেট দিয়ে এই বছর ছায়ানট ত্রাণ বিতরণ করবে দুস্থদের মাঝে। এ বিষয়ে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ছায়ানট।
এমএবি/পিআর
Advertisement