মতামত

জীবন সবচেয়ে মূল্যবান

খুবই উদ্বেগের বিষয় যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উন্নত বিশ্বও এই ভাইরাসকে বাগে আনতে পারছে না। সেদিক থেকে বাংলাদেশ তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছে। তবে আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস আরও ব্যাপক শক্তি নিয়ে থাবা বসাতে পারে। এ জন্য সাবধানতা ও সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।

Advertisement

করোনাভাইরাসে সংক্রমণের তিন মাস পূরণ হলো। এই ক’মাসেই বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। এতে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত আট লাখ মানুষ, প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ হাজারেরও বেশি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বশেষ তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসাবে, বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ২৪ হাজার ৫২৯ জন। মারা গেছেন ৪০ হাজার ৬৭২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মাত্র ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩৫৯ জন।

প্রায় দুই মাসের বেশি সময় আক্রান্তের সংখ্যায় সবার ওপর ছিল চীন। তবে গত দু’সপ্তাহেই সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রায় পৌনে দুই লাখ মানুষের শরীরে নভেল করোনভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন ৩ হাজার ৪২৪ জন। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টাতেই মারা গেছেন ২৮৩ জন।

Advertisement

করোনায় গত এক মাসেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইতালি। দেশটিতে এপর্যন্ত ১২ হাজার ৪২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৭৯২ জন। অনেকটা একই অবস্থা স্পেনেরও। দেশটিতে ৯৪ হাজার ৪১৭ জন আক্রান্ত ও ৮ হাজার ২৬৯ জন মারা গেছেন।

চীনে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৫১৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩০৫ জনের। এছাড়া জার্মানি, ইরান, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যও ভয়াবহ করোনা মহামারিতে ভুগছে।

বাংলাদেশে করোনার ছোবল ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারেনি। তবে এখনো আমরা আশঙ্কামুক্ত নই। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সচেতনতা মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে হোম কোয়ারেন্টাইন।

কম মারা যাচ্ছে ও স্বল্পসংখ্যক মানুষের করোনা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে বলে আশ্বস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং এটাকে সচেতনতার ফল হিসেবে দেখতে হবে। চূড়ান্ত ফলে পেতে আমাদের আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে। প্রাণঘাতী এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে হলে কিছু সময় ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কোনো বিষয় নয়। মনে রাখতে হবে জীবনের চেয়ে বড় কিছু নেই।

Advertisement

এইচআর/বিএ/জেআইএম