নোভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ে গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরির অভিযোগে নতুন করে ৮২টি ফেসবুক আইডি, পেজ ও ওয়েবসাইট শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এগুলোর পরিচালনাকারীকে খুঁজছে পুলিশ। তাদের ধরতে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে পুলিশের একাধিক ইউনিট।
Advertisement
এর আগে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ৫০টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ, ইউটিউব চ্যানেল শনাক্ত করে সেগুলো ব্লক করার জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনে (বিটিআরসি) পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গুজব ছড়ানোর অপরাধে ইতোমধ্যে ঢাকা, চাঁদপুর, খাগড়াছড়ি, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম থেকে কমপক্ষে ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া গুজবের এসব পোস্ট শেয়ার করার জন্য ৭ জনকে আটক করে ‘পরবর্তীতে এমন পোস্ট শেয়ার করবেন না’ মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে জনমনে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি তৈরি করার কারণে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ৫০টি অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করে বন্ধ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জন্য বিটিআরসিকে তথ্য দিয়েছি। গুজব ছড়ানোর কারণে নতুন করে আরও ৮২টি অ্যাকাউন্ট, পেজ ও ওয়েবসাইট শনাক্ত করা হয়েছে। এগুলো যারা পরিচালনা করছেন তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে।’
Advertisement
এদিকে মঙ্গলবারও বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়ানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে কয়েকটি ফেসবুক পেজ, বিদেশ থেকে পরিচালিত কয়েকটি বাংলাদেশভিত্তিক অনলাইন নিউজপোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, করোনাকে কেন্দ্র করে পৃথিবীব্যাপী ফেক নিউজ ও গুজব ভয়ঙ্কর রূপে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। আমরা গুজব ও ফেক নিউজের বিরুদ্ধে প্রচারণা ও ব্যবস্থা নিচ্ছি। গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব ও পুলিশের সাইবার টিম কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং গুজব ছড়ানো আইডি বন্ধ করা হয়েছে।
এআর/জেডএ/জেআইএম
Advertisement