শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি থাকা ৩৪ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ওই যুবকের বাড়ি নড়িয়া উপজেলায়। তিনি পেশায় শ্রমিক ছিলেন।
Advertisement
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও কাশি থাকায় ওই যুবককে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ১৯ মার্চ কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরীক্ষায় তার যক্ষ্মা ধরা পড়ায় তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসা শেষে ২৩ মার্চ তিনি সদর হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে যান।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনির আহমেদ খান বলেন, তিনি নড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল তার। শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসা দেয়া অবস্থায় তিনি মারা যান।
Advertisement
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. এস.এম. আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর’এ পাঠানো হবে। আইইডিসিআর থেকে ফলাফল পেতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। তার পরিবার যে জায়গায় দাফন করতে চায়, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সেখানেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরা লাশ দাফন করে আসবেন।
এদিকে ওই ব্যক্তির আশপাশের পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ওই যুবক নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি একজন শ্রমিক। দীর্ঘদিন যাবত যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতি চিন্তা করে তার বাড়ির আশপাশের পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
ছগির হোসেন/এফএ/জেআইএম
Advertisement