পরিস্থিতি কিভাবে বদলে যায়! ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পারফরম্যান্সে এতটাই মুগ্ধ জুভেন্টাস, ‘বুড়ো’ রোনালদোর সঙ্গেই আগেভাগে বাড়তি চুক্তি করে রাখার কথা ভাবছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি।
Advertisement
জুভেন্টাসে রোনালদোর প্রায় দুই বছর হয়েছে। আরও দুই বছর অর্থাৎ ২০২২ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে পর্তুগিজ যুবরাজের। চুক্তি শেষ হতে হতে বয়স ৩৭ হয়ে যাবে।
কিন্তু ৩৭ বছর হওয়ার পরও রোনালদোকে আরও দুই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধরে রাখার কথা ভাবছিল জুভেন্টাস। দিন কয়েকের ব্যবধানে সেই ভাবনা একেবারে উল্টে গেল।
না, রোনালদোর পারফরম্যান্স পড়ে যায়নি। বরং সাবেক রিয়াল তারকা জুভেন্টাসে যত ভালোই খেলেন না কেন, সম্ভবত তাকে ছেড়ে দিতেই হবে তুরিনের ক্লাবটিকে। কেন?
Advertisement
করোনাভাইরাসের অকস্মাৎ আক্রমণে কোণঠাসা বিশ্বের বড় বড় ফুটবল ক্লাবগুলো। জুভেন্টাসও বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। যদিও এই সংকটে ক্লাবের ক্ষতি পুষিতে উঠতে রোনালদোরা জুন পর্যন্ত বেতনের ৯০ ভাগই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কিন্তু সংকট কেটে গেলেও রোনালদোর মতো দামি খেলোয়াড়ের ব্যয় বহন করা কঠিন হবে জুভেন্টাসের। তাই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কোনো দলের কাছে সাবেক রিয়াল তারকাকে বেচে দিতে পারে জুভরা। ইতালিয়ান সংবাদপত্র ‘ইল মেসেগেরো’র এক প্রতিবেদন থেকে সে আভাসই পাওয়া যাচ্ছে।
২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডে জুভেন্টাসে আসেন রোনালদো। চুক্তি অনুযায়ী, তিনি প্রতি সপ্তাহে বেতন নেন ৫ লাখ পাউন্ড। বছরে সিআরসেভেনের বেতন প্রায় ২৭ মিলিয়ন পাউন্ড।
চলতি মৌসুম বাতিল হয়ে গেলে জুভেন্টাস যে আর্থিক ক্ষতিতে পড়বে, তাতে আগামী মৌসুমে রোনালদোকে ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে তারা প্রিমিয়ার লিগের কোন দলের কাছে ৬০ মিলিয়ন পাউন্ড থেকে ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি করে দিতে পারে পাঁচবারের ব্যালন ডি'অরজয়ী তারকাকে।
Advertisement
এমএমআর/এমএস