জাতীয়

ছুটির মধ্যে আরও তিন দফা ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হবে : প্রতিমন্ত্রী

করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত ছুটির মধ্যে কর্মহীন শ্রমজীবী ও দরিদ্র মানুষকে সহায়তার জন্য আরও তিন দফা ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

Advertisement

মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান।

করোনার কারণে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি চলছে। এর মধ্যে ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। আজকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স একটি জিনিস প্রশংসা করেছেন যে তারা ছুটির সময় কর্মহীন মানুষগুলোকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য যে পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী প্রয়োজন ছিল তারা সেই পরিমাণ সামগ্রী পেয়েছেন। তাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে।’

Advertisement

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ছুটির দিনগুলোতে অফিস খোলা রেখে যে অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছে, সেটা সফল হয়েছে।

এনামুর রহমান বলেন, আজকে ভিডিও কনফারেন্সে আরও দেখেছেন, ছুটি ঘোষণার পর যারা ঢাকা ত্যাগ করে বাড়িতে গেছেন তাদের কোয়ারেন্টাইন সময়টুকু হিসাব করলে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলে যায়। সেটা মাথায় রেখে আজকে প্রধানমন্ত্রী ছুটিটাকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নেন।’

‘এই যে ছুটি বাড়ানো হল, ছুটি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ২, ৪ ও ৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসকদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পাঠাব। যাতে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তায় কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয়।’

পর্যাপ্ত অর্থ ও খাদ্য মজুদ রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের অত্যন্ত মানবতাবাদী প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছে, যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন আপনাদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।’

Advertisement

তিনি বলেন, আজকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী একটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন- এই যে কর্মহীন অসহায় দুঃস্থ মানুষের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, এখানে যদি কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করে, অসহায় দরিদ্র মানুষের হক যদি কেউ নষ্ট করে তাদেরকে তিনি শাস্তির আওতায় আনবেন। তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন এ রকম ঘটনা ঘটলে তাদেরকে যেন সঙ্গে সঙ্গেই পাকড়াও করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরাও হুঁশিয়ারি দিতে চাই, জনগণের টাকায় কেনা এই ত্রাণ সামগ্রী যাদের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে, আপনারা সবই খেয়াল রাখবেন সত্যিকারের যারা ভুক্তভোগী, সত্যিকারের যারা কর্মহীন তারা যেন এ খাদ্য সহায়তা পায়।’

আরএমএম/এএইচ/পিআর