পাবনার হাটবাজারে জনসমাগম বন্ধ করা যাচ্ছে না। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলার বড় বড় হাটবাজারে জনসমাগম হচ্ছে হাজারো মানুষের।
Advertisement
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার বিশেষ কয়েকটি পণ্যের দোকান ছাড়া হাটবাজার বন্ধের নির্দেশ দিলেও পাবনার এসব হাটবাজারে নিয়ম মানা হচ্ছে না। আগের মতোই হাটবাজারে কেনাবেচা হচ্ছে সব ধরনের পণ্য। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব হাটে সমাগম হচ্ছে হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার। এমনকি হাটে আসা ৯৫ ভাগ মানুষই মাস্ক ছাড়াই অবাধে চলাফেরা করছেন।
রোববার (২৯ মার্চ) জেলার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর হাট, সুজানগর পৌর পেঁয়াজের হাটে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কাশিনাথপুর ও বনগ্রাম হাটেও একইভাবে হাজার হাজার মানুষের জনসমাগম হয়। জেলার করমজা, হাজিরহাট, অড়রকোলা, টেবুনিয়া, নাজিরগঞ্জ, বোনকোলা, দুলাই ও চিনাখড়া হাটেও আগের মতো হাজারো মানুষের সমাগম হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, সপ্তাহে দুদিন করে জেলার সব বড় বাজারে হাট বসে। এসব হাটে করোনা আতঙ্কের মধ্যেও কেনাবেচা এবং জনসমাগম কমেনি।
Advertisement
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জরুরি ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট, সরকারি-বেসরকারি অফিস, পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয়। অতিরিক্ত জনসমাগমকেও নিরুৎসাহিত করা হয়। সামাজিক দূরত্বসহ নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনার কথা বলা হয়। সরকারের এ কাজ বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে জেলার বড় বড় হাটে কেনাবেচা হচ্ছে আগের মতোই। এসব হাটে সমাগম হচ্ছে হাজারো মানুষের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটবাজার ইজারাদার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলা হলেও নিয়ম মানেনি তরা। ফলে বিশাল জনগোষ্ঠীর সমাগমে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীসহ সচেতন মহল।
সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, হাটবাজারসহ যেকোনো জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হলেও কেউ তা মানছে না। গ্রামীণ হাটবাজারে ব্যাপক সমাগম করোনা সংক্রমণের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি।
পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন কেএম আবু জাফর বলেন, বিদেশ থেকে আসা তিন হাজারের বেশি মানুষসহ সম্প্রতি সাধারণ ছুটি পেয়ে বিপুল সংখ্যক লোক রাজধানী থেকে গ্রামে এসেছেন। তারা বিধি-নিষেধ মানছেন না। সামাজিক কর্মকাণ্ডে, হাটবাজারে অবাধে বিচরণ করছেন তারা। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
Advertisement
সাঁথিয়া থানা পুলিশের ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, বিদেশফেরতদের বাড়ি পাহারা দেয়াসহ পুলিশের অনেক কাজ করতে হয়। কাজেই কোনটা ছেড়ে কোনটা করি এমন অবস্থা হয়েছে আমাদের। তারপরও বিষয়টি দেখব আমরা।
একে জামান/এএম/পিআর