করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কিছু মৃত্যু নিয়ে জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, তারা কেউ করোনা রোগী ছিলেন না। তাই মৃত্যু হলেই করোনাভাইরাস বলে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. ফ্লোরা বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বেশকিছু মৃত্যু নিয়ে জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের সৎকার হওয়ার আগে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তারা কেউ করোনা রোগী ছিলেন না। তাই মৃত্যু হলেই করোনাভাইরাস বলে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। দুজনই পুরুষ। একজনের বয়স ৫৭ বছর এবং অন্যজনের বয়স ৫৫ বছর। একজন সৌদিফেরত হলেও অন্যজনের বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। একজন ডায়াবেটিসে ভুগছেন। অন্যজন ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং দুজনই সুস্থ আছেন। যার বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই, তার সংক্রমিত হওয়ার ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
Advertisement
তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের তিন দিন পরপর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। তিন দিনের ব্যবধানে কারও নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও একবার পরীক্ষা করা হয়। পরপর দুবার নেগেটিভ রিপোর্ট এলে তাকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় নতুন আরও ছয়জন করোনামুক্ত হয়েছেন। ফলে সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন। নতুন সুস্থ হওয়া ছয়জনের মধ্যে একজনের বয়স ৭০ বছর, চারজনের বয়স ৩০-৪০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ৪০-৫০ বছর। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও দুজন নারী। এদের মধ্যে একজন নার্স রয়েছেন।
অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। যাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত সন্দেহ করা হবে, তাদের প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে চাই। কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি যেন সমাজে রয়ে না যান, যার কাছ থেকে সংক্রমণটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমরা প্রত্যেকটি করোনা রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চাই। এক্ষেত্রে দেশের মানুষের সহযোগিতা চাই।
এমইউ/এইচএ/এমকেএইচ
Advertisement